প্রতিবেদন : অস্কার ব্রুজোও ইস্টবেঙ্গলের হাল ফেরাতে ব্যর্থ। ভুবনেশ্বরে সাহসী ফুটবল খেলেও আইএসএলে হারের ডাবল হ্যাটট্রিক আটকাতে পারল না লাল-হলুদ। ডার্বি হেরে টানা পাঁচ হারে লজ্জার রেকর্ড করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের ইতিহাসে যা নজিরবিহীন। নিজেদের লজ্জার রেকর্ড আরও খারাপ হচ্ছে। শুরুতে অজস্র সুযোগ নষ্ট করে ওড়িশা এফসি-র কাছে ১-২ গোলে হার ইস্টবেঙ্গলের। রয় কৃষ্ণ ও মুর্তাদা ফল ওড়িশার দুই গোলদাতা। আরও এক হারে লিগের লাস্টবয় তকমাটা আরও জমাটভাবে লাল-হলুদের গায়ে সেঁটে গেল। ৬ ম্যাচে ছ’টিতেই হেরে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্টের ঝুলি সেই শূন্য। ওড়িশা ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে উঠল ৭ নম্বরে।
আরও পড়ুন-৫ বছর ধরে সরকারের নাকের ডগায় অভূতপূর্ব প্রতারণা, মোদিরাজ্যে ভুয়ো আদালত, ভুয়ো বিচারক
ডার্বির দল থেকে কয়েকটি বদল আনার পর ভুবনেশ্বরে ইস্টবেঙ্গলকে শুরু থেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে দেখা যায়। ক্লেটন সিলভার জায়গায় দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসকে আপফ্রন্টে রেখে ৪-৫-১ ফর্মেশনে দল নামিয়েছিলেন অস্কার। প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই প্রেসিংয়ে জোর দিয়ে গোলের লকগেট খুলে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেই সুযোগ নষ্টের চেনা রোগ। ক্রেসপো, দিমি, নন্দরা সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল তুলে নিতে পারেননি। একা ওড়িশা গোলকিপারকে সামনে পেয়েও গোল করতে পারেননি তালাল।
এরপর ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে লোবেরার দল। কৃষ্ণকে সামনে রেখে জাহু-বুমোস-ইসাকরা দ্রুত ইস্টবেঙ্গল বক্সে আক্রমণ তুলে আনেন। ২২ মিনিটে প্রথম গোল পায় ওড়িশা। ইসাক ও কৃষ্ণর যুগলবন্দিতে এগিয়ে যায় লোবেরা ব্রিগেড। ইসাক দুর্দান্ত ডিফেন্স চেরা থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন কৃষ্ণকে লক্ষ্য করে। ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন সিং গিলের পাস দিয়ে নিখুঁত শটে বল জালে জড়িয়ে দেন ফিজির গোলমেশিন।
আরও পড়ুন-পুলিশ কি একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে টার্গেট করছে? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
পিছিয়ে পড়লেও লড়াই জারি থাকে ইস্টবেঙ্গলের। মাঝমাঠে জাহুদের সঙ্গে কড়া টক্কর দিয়ে তালাল, ক্রেসপোরা ওড়িশা রক্ষণে চাপ বাড়ান। কিন্তু মুর্তাদা ফলদের সামনে আটকে যান দিয়ামানতাকোসরা। তবে প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে ইস্টবেঙ্গল। ডান দিক থেকে তালালের সেন্টার বক্সের মধ্যে হাত দিয়ে আটকান থৈবা সিং। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানালে তা থেকে গোল করতে ভুল করেননি দিয়ামানতাকোস।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও ইস্টবেঙ্গল সেই একই তীব্রতায় করেছিল। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে গিয়ে সেই চেনা ছবি। গোলমুখ খুলতে পারেনি। ৬৯ মিনিটে সেট পিস থেকে গোল করে এগিয়ে যায় ওড়িশা। নীচ থেক উঠে এসে জাহুর ফ্রি-কিক থেকে হেড করে গোল করে যান মুর্তাদা ফল। পিছিয়ে পড়ে জোড়া পরিবর্তন করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। হিজাজি মাহের ও তালালকে তুলে নামান ক্লেটন সিলভা ও হেক্টর ইয়ুস্তে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের আরও সমস্যা বাড়িয়ে দেন প্রভাত লাকড়া। ৭৬ মিনিটে জাহুকে খারাপ ট্যাকেল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লাল-হলুদের সাইড ব্যাক। শেষ প্রায় ২০ মিনিট ১০ জনে খেলতে হয় ইস্টবেঙ্গল। কোনওরকমে কৃষ্ণদের ঠেকিয়ে আরও গোল হজম করা থেকে রক্ষা পায় অস্কারের দল।