প্রতিবেদন : ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে সহজ জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার যুবভারতীতে সাউথ ইউনাইটেড এফসিকে ৫-০ গোলে হারিয়েছেন অস্কার ব্রুজোর ফুটবলাররা। একগাদা সুযোগ নষ্ট না হলে, ম্যাচটা আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত লাল-হলুদ।
এদিন শুরুতে দুই বিদেশি মহম্মদ রশিদ ও সাউল ক্রেসপোকে রেখে দল মাঠে নামিয়েছিলেন অস্কার। লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই নজর কাড়লেন প্যালেস্তাইনের রশিদ। এখনও পুরো ফিট নন। নতুন পরিবেশে মানিতে নিতে আরও সময় লাগবে। তবে মাঝমাঠে নেতৃত্ব দেওয়ার সহজাত দক্ষতা রয়েছে রশিদের। ম্যাচের শুরু থেকেই বিপক্ষকে চেপে ধরেছিল ইস্টবেঙ্গল। ১২ মিনিটেই প্রথম গোল। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে জাল কাঁপান লালচুননুঙ্গা। ৩৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ২-০ করেন বার্থডে বয় সাউল। পেনাল্টি আদায় করেছিলেন এডমুন্ড লালরিনডিকা। ছটফটে এডমুন্ড বারবার বিপক্ষ রক্ষণে ত্রাসের সৃষ্টি করেছেন।
আরও পড়ুন-বাংলা-বাঙালিকে হেনস্থা শেষ দেখে ছাড়বে তৃণমূল
বিরতির পর আরও তিন গোল। ৮০ মিনিটে দুই পরিবর্ত ফুটবলার দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস ও বিপিন সিংয়ের যুগলবন্দিতে ৩-০। দিয়ামানতাকোসের চমৎকার থ্রু থেকে চলতি বলেই জোরালো শটে গোল করেন বিপিন। লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই গোল পেলেন মণিপুরি উইঙ্গার। ৮৬ মিনিটে দিয়ামানকোসের নেওয়া গড়ানে ফ্রি-কিক বিপক্ষ গোলকিপারের হাত ফস্কে জালে জড়িয়ে যায়। তিন মিনিট পরেই নাওরেম মহেশ ৫-০ করেন। কর্নার থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শটে গোল করেন তিনি।
বেঙ্গালুরুর সাউথ ইউনাইটেড এফসি আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের দল। এমন দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় দিয়ে বিচার করাটা ভুল হবে। বেশ কিছু জায়গায়, বিশেষ করে, সাইড ব্যাকে উন্নতি করতে হবে অস্কারের দলকে। তবে উইংয়ে লাল-হলুদ কোচের হাতে এবছর অনেক বিকল্প। এই ম্যাচেও যতবার উইং দিয়ে আক্রমণ শানানো হয়েছে। ততবারই ঝকঝকে দেখিয়েছে লাল-হলুদ জার্সিকে। অস্কারের আরও একটা প্রাপ্তি মরশুমের প্রথম ম্যাচেই দিয়ামানতাকোসের গোল। গ্রিক স্ট্রাইকার গত মরশুমে গোল-খরায় ভুগেছিলেন। এদিনের গোলটা দর্শণীয় না হলেও, আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। আনোয়ারের সঙ্গে এদিন স্টপারে জুটি বেঁধেছিলেন নবাগত মার্তণ্ড রায়না। বিদেশীহীন প্রতিপক্ষের কারণে তেমন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। তবে পরের ম্যাচে আই লিগের নামধারী এফসি কিন্তু লাল-হলুদ রক্ষণের কড়া পরীক্ষা নেবে।