প্রতিবেদন : হারের হ্যাটট্রিকের পর দুরন্ত ফুটবল খেলে জয়ের সরণিতে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। পি ভি বিষ্ণু ও হিজাজি মাহেরের গোলে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে সুপার সিক্সের স্বপ্ন কিছুটা হলেও বাঁচিয়ে রাখল অস্কার ব্রুজোর দল। কেরলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন দানিশ ফারুখ। এদিনও একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। শেষের দিকে উদ্বেগ বাড়িয়ে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলল মশালবাহিনী। জিতলেও ১৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরেই ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন-শিশুকন্যা দিবস
চোট সমস্যায় টিম গুছিয়ে দল নামানোই চ্যালেঞ্জিং ছিল ইস্টবেঙ্গল কোচের কাছে। এদিনও যেমন সাইড ব্যাকে জিকসন সিংকে খেলান অস্কার। শুরুতে সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে লাগাতার আক্রমণ শানায় ইস্টবেঙ্গল। দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস, নতুন বিদেশি রিচার্ড সেলিস লাল-হলুদ আক্রমণে ভরসা দিলেন। উইং দিয়ে গতি ও স্কিলে কেরল রক্ষণকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছিলেন বিষ্ণু। পিছন থেকে সেলিস, দিমিদের বলের জোগান দিয়ে আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন ক্লেটন সিলভা। প্রথমার্ধেই বিষ্ণু, সেলিসদের দাপটে তিন-চার গোল করে ফেলতে পারত ইস্টবেঙ্গল। দিয়ামানতাকোস, ক্লেটনরা সুযোগ নষ্ট করলেন। দিয়ামানতাকোসের পাস থেকে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন ক্লেটন। সেলিসের প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সেলিস। কিন্তু বিদেশিরা যা করতে পারছিলেন না, সেটাই করে দেখালেন বিষ্ণু। একটি লুজ বল ধরে ডিফেন্স লাইন থেকে বিষ্ণুর উদ্দেশে দুর্দান্ত থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন ক্লেটন। একক দক্ষতায় কেরলের সাইড ব্যাককে ড্রিবলে পিছনে ফেলে বক্সের মধ্যে ঢুকে বিপক্ষ গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে বল চিপ করে দেন বিষ্ণু। চেষ্টা করেও গোল আটকাতে পারেননি কোরৌ সিং।
আরও পড়ুন-রাজ্যের শিল্পীদের পণ্যে সেজে উঠছে বলিউডের সেট, রিফিউজি হ্যান্ডিক্রাফটসের উদ্যোগ
দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কেরলের নোয়া, লুনারা বিক্ষিপ্ত আক্রমণ শানালেও ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ অটুট থাকে। ৭২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। কর্নার থেকে গোল করেন হিজাজি। ৮৪ মিনিটে কেরলের হয়ে একটি গোল শোধ করেন দানিশ। শেষ পর্যন্ত ২-১ স্কোরলাইনেই জয় ইস্টবেঙ্গলের।