প্রতিবেদন : চার গোলে ভুটানের মাটিতে জ্বলল মশাল। পাহাড়ে বিশাল জয়ের রংমশালে ইস্টবেঙ্গলে আগাম দীপাবলি। অস্কার ব্রুজোর হাত ধরেই মরশুমে টানা ৯ ম্যাচ পর প্রথম জয় লাল-হলুদের। অস্কারের ছেড়ে আসা বসুন্ধরাকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করলেন নন্দকুমার, মাদি তালাল, আনোয়ার আলিরা। ৪-০ গোলে জিতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার রাস্তা অনেকটাই মসৃণ করল ইস্টবেঙ্গল। চার গোলদাতা দিয়ামানতাকোস, সৌভিক চক্রবর্তী, নন্দ ও আনোয়ার। অজস্র সুযোগ নষ্ট না হলে অস্কারের পুরনো দলের লজ্জা আরও বাড়তে পারত।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
গ্রুপ ‘এ’-তে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের। ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে লেবাননের নেজমেহ এফসি। দ্বিতীয় সেরা হয়ে নক আউটে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল সাউল ক্রেসপোদের। চারটি গোলই প্রথমার্ধে। ইস্টবেঙ্গলের গোল-উৎসব শুরু খেলার প্রথম মিনিট থেকেই। থিম্পুর রাতের কনকনে ঠান্ডা, চাংলিমাথাং স্টেডিয়ামের কৃত্রিম ঘাসের মাঠের চ্যালেঞ্জ সামলে মাত্র ৩৩ সেকেন্ডেই প্রথম গোল তুলে নেয় অস্কারের ইস্টবেঙ্গল। লালচুংনুঙ্গার নিচু ক্রস থেকে বসুন্ধরার রক্ষণের ভুলে হাফ টার্নে গোল করে যান দিয়ামানতাকোস। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে আরও দু’টি গোল করে ফেলতে পারতেন নন্দ। কিন্তু সহজ সুযোগ নষ্ট করেন লাল-হলুদ উইঙ্গার। ইস্টবেঙ্গলের একের পর এক আক্রমণে তখন দিশাহারা বসুন্ধরা রক্ষণ। ২০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে সৌভিকের দুরন্ত শট জালে জড়িয়ে যায়। তখন শুধুই অসহায় দর্শক বসুন্ধরার গোলকিপার।
শুরুর ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করে ২৬ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান নন্দ। বাঁ-প্রান্ত ধরে উঠে ইনসাইড আউটে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের নিচু শটে গোল করেন তিনি। লাল-হলুদ ঝড়ে মিনিট সাতেক পরই চতুর্থ গোল ইস্টবেঙ্গলের। এবার উপরে উঠে দর্শনীয় গোল করেন আনোয়ার। বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে বাঁ-পায়ের সোয়ার্ভিং শটে গোল করেন তারকা ভারতীয় ডিফেন্ডার।
আরও পড়ুন-বিশ্বভ্রমণ ও বাণিজ্য মানচিত্রে কলকাতা
দ্বিতীয়ার্ধে বসুন্ধরা পরিকল্পনা বদলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও ইস্টবেঙ্গলের দাপট বজায় ছিল। বিরতির পর দিয়ামানতাকোসের জায়গায় ক্লেটনকে নামিয়েছিলেন অস্কার। চোট পাওয়ায় হেক্টর ইয়ুস্তের জায়গায় নামেন মহম্মদ রাকিপ। কিন্তু একপেশে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের দিনেও ক্লেটনের ব্যর্থতা চোখে পড়ার মতো। একা গোলকিপারকে সামনে পেয়েও বল জালে জড়াতে পারছেন না।