গোয়ালিয়র, ৬ অক্টোবর : বার্বাডোজে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গেই মোমেন্টাম তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এরপর নতুন অধিনায়ক, নতুন কোচেও জয়ের ধারা অব্যাহত। সূর্য আর গম্ভীরের দুর্দান্ত কম্বিনেশন শ্রীলঙ্কায় টি-২০ সিরিজ জিতে এসেছে। রবিবার গোয়ালিয়রে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচেও ভারত জিতল ৭ উইকেটে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বোলাররা নাজমুল শান্তর দলকে ১২৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর জয় দেখতে পাচ্ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ১১.৫ ওভারেই যে রান উঠে আসবে, সেটা কে ভেবেছিল। ওপেনার অভিষেক শর্মা ১৬ রানে ফিরে যাওয়ার পর অন্য ওপেনার সঞ্জু স্যামসন (২৯) ও সূর্যকুমার যাদব (২৯) মিলে জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন। অতঃপর হার্দিক পাণ্ডিয়া (৩৯ নট আউট) ও অভিষেক ম্যাচে নামা নীতীশ রেড্ডি (১৬ নট আউট) মিলে ৪৯ বল বাকি থাকতেই জয় হাসিল করে নেন। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে হার্দিক চর্চার মধ্যে রয়েছেন। ৪ ওভার বল করার পর ব্যাট হাতে তাঁর এদিনের ইনিংস নির্বাচকদের টেবিলে নিঃসন্দেহে হার্দিককে প্রাসঙ্গিক রাখবে।
রবি বিষ্ণোইকে বাইরে রেখে কেকেআরের বরুণ চক্রবর্তীর উপর আস্থা রেখেছিলেন গম্ভীর। মেন্টর হিসাবে বরুণকে কাছ থেকে দেখেছেন। গোয়ালিয়রে প্রথম টি-২০ ম্যাচে সেই বরুণই ভাঙলেন বাংলাদেশের মিডল অর্ডারকে। তৌহিদ হৃদয় (১২) ও মাহমুদুল্লাহকে (১) পরপর তুলে নিয়ে সেই যে শান্তর দলকে গাড্ডায় ফেললেন, সেখান থেকে বাংলাদেশ বেরোতে পারেনি।
আরও পড়ুন-পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথম পয়েন্ট, বোলারদের দাপটে সহজ জয়
নতুন মাঠ। উইকেট কেমন হবে, সেটা ধাঁধা। সূর্য তাই টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে দিয়েছিলেন। তাতে অর্শদীপ শুরুতেই লিটন (৪) আর পারভেজকে (৮) আউট করে বিপক্ষকে মহা মুশকিলে ফেলে দিয়েছিলেন। ২.১ ওভারে বাংলাদেশ ছিল ১৪/২। এরপর বরুণের ধাক্কায় সেটা দাঁড়ায় ৫৭/৫। এতক্ষণ একটা দিক আগলে রেখেছিলেন অধিনায়ক শান্ত (২৭)। কিন্তু তাঁকে ওয়াশিংটন সুন্দর নিজের বলে ধরে ফেলার পর স্কোর ছিল ৭৫/৬। এতে তখনই পরিষ্কার, বড় স্কোর হচ্ছে না।
রিশাদ (১১) বরুণের তৃতীয় শিকার। কেকেআর বোলারের বোলিং গড় ৪-০-৩১-৩। বাংলাদেশ যেটুকু এগোল সেটা মেহেদির জন্য। তিনি ৩৫ নট আউট থেকে যান। বাংলাদেশ ১৯.৫ ওভারে ১২৭ অল আউট হয়ে যায়। মায়াঙ্ক ও নীতীশকে এগারোয় রেখে দল সাজান গম্ভীর। হার্দিক ৪ ওভারে ২৬ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন। মায়াঙ্ক ৪ ওভারে ২১ রানে নেন ১টি উইকেট। এছাড়া অর্শদীপের সংগ্রহে ১৪ রানে ৩ উইকেট।