সংবাদদাতা, হাওড়া : পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে এবার হাওড়ার গড়চুমুকে গড়ে উঠছে ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র। বুধবার গড়চুমুকে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ সংস্থা ‘কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেণ্ট কর্পোরেশনে’র (সিএডিসি’র) প্রকল্প এলাকার মধ্যে প্রায় সাড়ে একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠবে ওই ইকো-পর্যটন কেন্দ্রটি। বুধবার এই ইকো-টুরিজিম কেন্দ্রটি তৈরির সূচনা করলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়। ছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের বিশেষ সচিব ও সিএডিসি’র কর্তা সৌম্যজিৎ দাস সহ দফতরের আধিকারিকরা। ছিলেন সৃথানীয় বিধায়ক কালীপদ মন্ডল সহ আরও অনেকে। সিএডিসির প্রকল্প এলাকার ভেতর সাড়ে ৪ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠবে এই ইকো-টুরিজিম কেন্দ্রটি।
আরও পড়ুন-বিরোধীদের বাড়ি যান দিনে কুড়িবার: বনমন্ত্রী
যেখানে থাকছে কটেজ। সেখানে রাত্রিযাপনেরও ব্যবস্থা থাকবে। এর মধ্যে অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে জলাশয়। যেখানে মাছ চাষ হবে। পর্যটকরা ওই জলাশয়ে মাছ ধরে রান্না করে খেতেও পারবেন। এর জন্য সিএডিসির পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে। গড়চুমুকে দামোদর ও গঙ্গায় মোহনায় আসা পর্যটকরা ইচ্ছে হলে এখানকার কটেজেও থাকতে পারবেন। পুজোর মধ্যেই কটেজগুলি চালু করা হবে। এবারের শীতের মরসুমে যাতে পর্যটকরা এখানে এসে প্রাকৃতিক আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেই লক্ষ্যেই দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।
আরও পড়ুন-দূষণমুক্ত পরিবেশ ফেরাবে প্রশাসন
এই ইকো টুরিজিমের সূচনার পাশাপাশি মন্ত্রী পুলক রায় এদিন সিএডিসির একটি পোলট্রি হাউস, সেগনেট হাউস ও হ্যাচারিরও উদ্বোধন করেন। জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় বলেন ‘গড়চুমুকের সিএডিসির নিজস্ব এলাকার মধ্যেই পুরো ইকো-টুরিজিমটি গড়ে তোলা হচ্ছে। শীতে এখানে পর্যটকরা এসে রাতে যেমন থাকতে পারবেন তেমনি জলাশয়ে বোটিং, মাছ ধরা দেখা বা নিজেরাও মাছ ধরতে পারবেন। সেই মাছ পর্যটকদের রান্না করে খাওয়ানোরও বন্দোবস্ত থাকবে। এর ফলে শীতের মরসুমে এখানকার ছবিটাই আমূল বদলে যাবে।’