বাংলার ভূয়সী প্রশংসায় অর্থনীতিবিদ মৈত্রীশ

তবে, এই সরাসরি অর্থ প্রদানের মতো প্রকল্প নিয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা কাম্য নয়। তা আখেরে দেউলিয়াপনার দিতে ঠেলে দেয় অর্থনীতিকে।

Must read

প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য যতটা করুণ দেখানো হয় আপেক্ষিক চিত্রটা ততটা খারাপ নয়। রীতিমতো অঙ্ক কষে পরিসংখ্যান দিয়ে জানালেন লন্ডন স্কুল ইকনমিক্সের অধ্যাপক মৈত্রীশ ঘটক। সোমবার কলকাতায় ‘আচার্য পি এন ব্যানার্জি মেমোরিয়াল লেকচার’-এ অর্থনীতিবিদ এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প মোটেই খারাপ নয়। ডেনমার্ক, নরওয়ের মতো স্ক্যান্ডিনিভিয়ান দেশগুলিতেও এমন সুরক্ষা প্রকল্প চলে। তবে, এই সরাসরি অর্থ প্রদানের মতো প্রকল্প নিয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা কাম্য নয়। তা আখেরে দেউলিয়াপনার দিতে ঠেলে দেয় অর্থনীতিকে।

আরও পড়ুন-তৃণমূলের চাপে নতিস্বীকার কমিশনের, দাবি মেনে ব্যবস্থা নেওয়ায় খুশি অভিষেক

ভারতের অন্য রাজ্যগুলির সাপেক্ষে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক অবস্থান কেমন তা নিয়েই এদিন বিশ্লেষণমূলক বক্তব্য রাখেন মৈত্রীশ। সেখানে স্বাধীনতার পর থেকে রাজ্যের অর্থনৈতিক উত্থানপতনের লেখচিত্র তুলে ধরেন। বলেন, গ্রামে থাকলে থাকা-খাওয়ার খরচ কম। বিহার, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি-চালিত পড়শি রাজ্যের থেকে যে পশ্চিমবঙ্গের মাথাপিছু ‘নেট স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাকশন’ বেশি তারও উল্লেখ করেন। আসলে শুধু রোজগার দেখলে হবে না। ব্যয়টাও দেখতে হবে। জলের ট্যাঙ্কে শুধু জল ভরাটা দেখলে হয় না। জল বেরিয়ে যাওয়াটাও খেয়াল রাখতে হয়। পশ্চিমবঙ্গে কর্মসংস্থান হচ্ছে না বলে লোক বাইরে চলে যাচ্ছে, এই যুক্তি মানতে নারাজ মৈত্রীশ। তাঁর যুক্তি, রাষ্ট্রকে শুধু কল্যাণ প্রার্থনা করলে তো হবে না। পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ করতে হবে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ তৈরি করতে হবে। আর সেই প্রসঙ্গেই বাংলার পিপিপি মডেলের বিস্তর প্রশংসা করেন মৈত্রীশ। একশো দিনের কাজের প্রশংসা করেন। বলেন, সরকার এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা বুঝতে পারছে।

Latest article