প্রতিবেদন : নজিরবিহীন প্রতিহিংসার রাজনীতি বিজেপির। পুলিশ হেফাজতেই আবারও গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেলে (Saket Gokhale)। এবার গুজরাত পুলিশের হেফাজতে থাকতেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করল সাকেতকে। এর আগে কয়েক দফায় বেশ কয়েকবার সাকেত গোখেলকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ। জামিন পাওয়ার পরও কিছুদিন আগে দিল্লির বঙ্গভবন থেকে সাকেতকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় গুজরাত পুলিশ। এবার ভুয়ো আর্থিক তছরুপ মামলায় সাকেত গোখেলকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দীর্ঘদিন ধরেই একটি এনজিও চালান সাকেত। এই এনজিওর কাজকর্মকে সামনে রেখেই ইডির তরফে অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। গুজরাতে মোরবি ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধে ট্যুইট করেন সাকেত। এরপরই তাঁকে ৬ ডিসেম্বর প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল। যে দুর্ঘটনায় সরকারি হিসেবে ১৩৫ জনের মৃত্যুর হয়। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করার জন্যই একের পর এক মামলা দিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্রকে। বার্তা পরিষ্কার, বিজেপি নেতাদের সমালোচনা করা চলবে না। করলেই প্রতিহিংসার রাজনীতির মুখোমুখি হতে হবে। পুলিশ বা এজেন্সি দিয়ে গ্রেফতার-হয়রানি করা হবে। এ-বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। সিবিআইয়ের এফআইআরে প্রতিষ্ঠিত চোর-তোলাবাজ শুভেন্দুর নাম থাকা সত্ত্বেও ওকে গ্রেফতার না করে কোলে বসিয়ে রাখা হয়েছে। আর কেউ প্রতিবাদ করলেই হেনস্তা করা হচ্ছে এভাবে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-এবার পরিবর্তন চাই মেঘালয়ে, আওয়াজ তুলেছেন বাঙালিরা
দিল্লি ও গুজরাত পুলিশের টিম সাকেত গোখেলকে (Saket Gokhale) বঙ্গভবনের ঘর থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই জোরদার করা হয়েছিল বঙ্গভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। একই সঙ্গে, তখন বঙ্গভবনের সার্ভার রুমে ঢুকে পুলিশ নিয়ে যায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের হার্ডডিস্কও। গোটা ঘটনায় গুজরাত পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে রাজ্য প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির সভা থেকেও এ-বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন বঙ্গভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ।