প্রতিবেদন : বিজেপির (BJP) মতো ভাববাচ্যে কথা বলছে ইডি-সিবিআই। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাধারণ সভা থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে একহাত নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে বিঁধলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর কথায়, ইলেকশন এলেই এজেন্সি লাগিয়ে দেয় বিজেপি। ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই এজেন্সি তৎপরতা বাড়ায়। চার্জশিট দেয়। কেউ ভয় পাবেন না।
আরও পড়ুন-ছাব্বিশের ভোটের আগে ৪ শপথ, বিজেপি-সহ বিরোধীদের জামানত জব্দ করার বার্তা তৃণমূল সুপ্রিমোর
এদিন চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়ে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ৫ বছর আগেও বলেছি, আবারও বলছি আমার বিরুদ্ধে যদি একটিও প্রমাণ ইডি বা সিবিআই আদালতে দিতে পারে তাহলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব। সিবিআই ২৮ পাতার চার্জশিটে জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রেখেছে। তা নিয়ে আগেই কড়া জবাব দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। এবার তৃণমূলের মঞ্চ থেকে এই মর্মে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে পাল্টা নিশানা করলেন অভিষেক। অভিষেক বলেন, খবরে দেখাচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে নাকি সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে। দু’জায়গায় খালি আমার নাম লিখেছে। কে অভিষেক, বাড়ি কোথায়— কোনও পরিচয় লেখা নেই। সিবিআই ভাববাচ্যে কথা বলছে। ওদের অবস্থাও বিজেপির মতো। এরপরই তীব্র কটাক্ষের সুরে অভিষেক বলেন, এই ভয় আমার ভাল লেগেছে। এরপরই তাঁর চ্যালেঞ্জ, আমি সময়ে সময়ে কথা পাল্টাই না। ৫ বছর আগেও বলেছি আমার বিরুদ্ধে যদি এক কুচিও প্রমাণ ইডি সিবিআই আদালতে দিতে পারে তাহলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব।
আরও পড়ুন-‘ভূতুড়ে ভোটার’: তথ্য দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ দলনেত্রীর, তালিকায় নজরদারিতে গড়লেন কমিটি
এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে একহাত নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লোকসভা বিধানসভা নির্বাচন এলেই বিজেপি এজেন্সি নিয়ে ময়দানে নেমে পড়ে। ডিএম-এসপি-বিডিও চেঞ্জ করে দেয়। নিজেদের মতো করে অবজার্ভার বসায়। সিআরপিএফ, সিআইএসএফ নিয়ে আসে। গ্রামে ঢুকিয়ে দিয়ে বলে তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, বিজেপিকে ভোট দিন। গণতন্ত্রের এমন দুরবস্থা আগে কখনও ভারতবর্ষে দেখিনি। ইলেকশন যতই আসবে, ততই এজেন্সি তৎপরতা বাড়বে। সব মিডিয়াকে কন্ট্রোল করে দিয়েছে। সাংবাদিকদের কোনও দোষ নেই। মালিকরাও ভিন্ন ভিন্ন বিজনেস করেন। তাঁদের ইনকাম ট্যাক্স, সিবিআই দেখানো হয়। বিজেপি অফিস থেকেই ঠিক করে দেওয়া হয়, কোন খবরটা চলবে, কোনটা চলবে না। এরপর ইলেকশন আসলেই মনে পড়ে তৃণমূল নেতাদের চার্জশিট দেওয়ার কথা। কাকে চোর বলতে হবে, কাকে জেলে ভরতে হবে! জেলে তো ভরেছেন, কটা প্রমাণ করতে পেরেছেন? কোনও কেস আজ পর্যন্ত সমাধান করতে পারেননি। কোন মুখে কথা বলেন আপনারা।