অনিল আম্বানির বাড়িতে ইডির হানা

জানা গিয়েছে, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

Must read

অনিল আম্বানির (Anil Ambani) বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। একাধিক এফআইআরের ভিত্তিতে দিল্লি ও মুম্বই-সহ মোট ৩৫টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। জানা গিয়েছে, অনিল আম্বানির সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৫০টিরও বেশি সংস্থা ও ২৫ জন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে অনেক ঋণই দেওয়া হয়েছে সংস্থার আর্থিক অবস্থা যাচাই না করে, একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর ও ঠিকানা একই ছিল, ঋণ অনুমোদনের নথিতে বহু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পাওয়া যায় নি, শেল কোম্পানিতে টাকা পাঠানো হয়েছে, ‘লোন এভারগ্রিনিং’-এর মাধ্যমে পুরনো ঋণ মেটাতে নতুন ঋণ দেওয়া হয়েছে। ইডির এই তদন্তে সহায়তা করছে সিকিওরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI), ন্যাশনাল হাউজিং ব্যাঙ্ক (NHB),ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি (NFRA),ব্যাঙ্ক অফ বরোদা। সেবি নিজেদের তরফে রিপোর্টে রিলায়্যান্স হোম ফিনান্স লিমিটেডের (RHFL) বিরুদ্ধে বড়সড় অনিয়মের কথা জানিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে কর্পোরেট ঋণ ছিল ৩,৭৪২ কোটি টাকা, কিন্তু সেটাই ২০১৮-১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮,৬৭০ কোটিতে।

আরও পড়ুন-বেলাইন কলকাতা-সম্বলপুরগামী ট্রেন

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে পরিকল্পিত প্রতারণা চক্রের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক, লগ্নিকারী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ইডি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, সংস্থাগুলিকে ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ পাইয়ে দিতে ব্যাঙ্কের শীর্ষ আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে অনিলের সংস্থা রাগা (RAAGA) গ্রুপের বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণ দেওয়ার আগে ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন প্রোমোটাররা নিজেদের ব্যক্তিগত সংস্থাগুলিতে টাকা পেয়েছিলেন, যেটি একটি বেআইনি ‘কুইড প্রো কো’ চুক্তি ছিল। তার ফলেই ইয়েস ব্যাঙ্কের সেই সময়ের প্রোমোটার ও সিনিয়র আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। তারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য এই ঋণ অনুমোদন করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

Latest article