প্রতিবেদন : কঠোর কোভিড বিধি ইডেনে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে। ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকারদের জন্য গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করেছে সিএবি। দুই দলের ক্রিকেটাররা ইডেনের ১৭ নম্বর গেট দিয়ে মাঠে প্রবেশ করবেন। এই গেটের প্রবেশপথে সম্পূর্ণ জৈব সুরক্ষা বলয়ের ব্যবস্থা থাকছে। ক্রিকেটাররা এবার ক্লাব হাউসের গেট দিয়ে ড্রেসিংরুমে প্রবেশ না করে ১৭ নম্বর গেট দিয়ে মাঠে ঢুকে ড্রেসিংরুমে আসবেন। ধারাভাষ্যকাররাও ১৭ নম্বর গেট দিয়ে মাঠে ঢুকবেন। তবে তাঁরা যেহেতু ক্লাব হাউসের উপরের তলায় কমেন্ট্রি বক্সে বসবেন, তাই ক্লাব হাউসের সিঁড়ির নিচে গ্রিন করিডর থাকছে। সেখান থেকে তাঁরা উপরে কমেন্ট্রি বক্সে চলে যাবেন।
আরও পড়ুন : দ্বিতীয় ডোজের জন্য বিশেষ সমীক্ষা
ক্লাব হাউসের দু’টো গেট অবশ্য খোলা থাকবে। সিএবি কর্তা বা সাধারণ, ভিআইপি দর্শক যাঁরা ক্লাব হাউসে বসে খেলা দেখবেন, তাঁদের প্রত্যেককেই থার্মাল গান দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা হবে এবং স্যানিটাইজ করা হবে। ক্লাব হাউসের সব আসনেই মাস্ক, স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা থাকবে। যে কেউ তা ব্যবহার করতে পারবে। সাধারণ গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার জন্যও এই নিয়ম মানতে হবে। জোড়া ভ্যাকসিন নেওয়ার শংসাপত্রও সঙ্গে রাখতে হবে।
ম্যাচের সময় ক্লাব হাউসের নিচে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের ঘর থাকে সেটাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মাঠের মধ্যে পিচ কিউরেটরের বসার জায়গায়। ক্লাব হাউস সংলগ্ন এলাকায় তাঁদের রাখা হবে না। কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই থাকবেন জৈব বলয়ের মধ্যে।
ক্লাব হাউসে খাবারের স্টল এবারও থাকছে। কিন্তু স্টলের দোকানদাররা যাতে কোভিড বিধি মেনে চলেন, দুটো ভ্যাকসিনের ডোজ যেন নেওয়া থাকে সেটা দেখে নেওয়া হচ্ছে। খেলার বিরতিতে যাঁরা ক্লাব হাউসের উপর থেকে নিচে নেমে স্টল থেকে খাবার কিনবেন, তাঁরাও যাতে কোভিড বিধি মেনে চলেন তা নিশ্চিত করা হবে।