স্বাস্থ্যে কতটা প্রভাব যাচাই না করেই কেন অনুমতি, উঠছে প্রশ্ন

Must read

নয়াদিল্লি : জিনগতভাবে পরিবর্তিত সর্ষের তেল (GM mustard approval) তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করা যাবে কিনা সে বিষয়ে ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক। জিন বদল হওয়া সর্ষের বাণিজ্যিক চাষের অনুমতি দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত সেই সর্ষে থেকে তেল উৎপাদন করে তা বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। উঠছে স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব তৈরির আশঙ্কাও। ক্ষোভের মুখে সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরিবেশমন্ত্রকের অধীনস্থ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাপ্রাইসাল কমিটি এই অনুমতি দিয়েছে। তবে সেই অনুমতিই এখন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের। কারণ, এর তীব্র বিরোধিতা করেছে খোদ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। ইতিমধ্যেই পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে চিঠিও দিয়েছেন স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের সর্বভারতীয় সহ আহ্বায়ক ডঃ অশ্বিনী মহাজন।

আরও পড়ুন-বিজেপি-শাসিত কর্নাটকে নগদ ঘুষ সাংবাদিকদের! তদন্তের দাবি উঠল

এর আগে ২০১৭ সালের মে মাসে জিনগতভাবে (GM mustard approval) পরিবর্তিত সর্ষে চাষের অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তৎকালীন পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকড়ের মন্ত্রক এই অনুমতি দেয়। যদিও তখনও নানা সংগঠনের প্রবল আন্দোলনের পর সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় পরিবেশমন্ত্রক। অশ্বিনী মহাজন তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ২০১৭ এর পর থেকে কোনও অতিরিক্ত পরীক্ষা- নিরীক্ষা করা হয়নি, এর সুরক্ষা বা প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একটিও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি। এছাড়াও এই বীজের চাষ ভারতের কীটনাশক বিধিনিষেধেরও পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা এই পরিবর্তিত সর্ষে বীজের মধ্যে পরিবেশগত এবং মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিক থেকে গুরুতর ঘাটতি পেয়েছেন। কোনওভাবেই যাতে এই সর্ষে বীজের চাষ না হয়, তা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের এই নেতা। তাঁর এই অভিযোগের পর প্রশ্ন উঠছে, কেন স্বাস্থ্য ও পরিবেশে প্রভাবের দিকটা যাচাই না করেই চাষের অনুমতি?

Latest article