যাদবপুরের উপাচার্যকে অপসারণ রাজ্যপালের! অচলাবস্থা তৈরিতে ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী

Must read

ফের রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের খামখেয়ালি! অবসরের চারদিন আগে সরিয়ে দেওয়া হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে (Bhaskar Gupta)। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তাঁর অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) অচলাবস্থা তৈরি করলেন রাজ্যপাল।

ওয়েবকুপার বৈঠককে কেন্দ্র করে প্রায় একমাস আগে উত্তাল হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয় (Jadavpur University)। তার কিছু রেশ এখনও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বারবার প্রশ্ন উঠেছে অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তর ভূমিকা নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে অপসারণের চিঠি পাঠাল রাজভবন।

আরও পড়ুন: জোড়া ভয়াবহ ভূমিকম্প মায়ানমারে, কাঁপল বাংলার একাধিক জেলা

রাজ্যপালে পছন্দমতো গতবছর এপ্রিলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পান ভাস্কর গুপ্ত। এই মাসের ৩১ তারিখ তাঁর অবসর গ্রহণের কথা। কিন্তু তার আগেই শুক্রবার, রাজভবনের তরফে ভাস্কর গুপ্তকে চিঠি পাঠিয়ে বলে হয়, নিয়োগ সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হল। তাৎক্ষণিক ভিত্তিতেই এই নির্দেশ কার্যকর। তবে কেন এই অপসারণ তার কোনও কারণ চিঠিতে নেই বলে জানান ভাস্কর। তাঁর কথায়, মাননীয় আচার্যের অধিকার আছে, তিনি যা নির্দেশ দেবেন, সেটাই হবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসি। যখনই বিশ্ববিদ্যালয় ডাকবে আমি থাকব। এই নির্দেশের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আচমকা এই অপসারণে ক্ষুব্ধ ব্রাত্য বসু। তাঁর মতে, এতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি করলেন রাজ্যপাল। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো আগেই তালিকা পাঠিয়েছিলেন, সেখান থেকে কেন একজনকে বেছে নেওয়া হলো না!

এর পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের না ডাকা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে নির্দেশ সম্পর্ক ব্রাত্য বলেন, “হাইকোর্ট থেকে বলা হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ডাকা যাবে না- এই প্রসঙ্গে আমার কোন বক্তব্য নেই। এটা আদালতের পর্যবেক্ষণ আমার কিছু বলার নেই। এই নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না।“

Latest article