বাড়ছে ডিমের দাম বড়দিনের কেক বিক্রি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বেকারি মালিকেরা

ডিমের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে কেকের চাহিদা নিয়ে দোলাচলে আছেন বেকারি মালিকরা।

Must read

মৌসুমী দাস পাত্র, নদিয়া: ডিমের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে কেকের চাহিদা নিয়ে দোলাচলে আছেন বেকারি মালিকরা। খোলা বাজারে পোলট্রির ডিম বিকোচ্ছে ১৫ -১৬ টাকা জোড়া। আরও বাড়ার জল্পনা রয়েছে। এই অবস্থায় প্রভাব পড়তে পারে ক্রিসমাসের কেকে। শহরের বেকারিগুলোতে কর্মরত শ্রমিকরা এই সময় নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন। কেকের একাধিক কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতার বাজারে টিকতে না পেরে ধুঁকতে থাকা কিছু বেকারি বাধ্য হয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ছোটখাটো বেকারিগুলোতে বড়দিনের মরশুমে সপ্তাহে অন্তত ২৫ কুইন্টাল ময়দা, ৮ টিন তেল, ১০ টিন ডালডা, ৮০ কেজি মাখন লাগে। বড় বেকারিগুলোতে লাগে আরও বেশি।

আরও পড়ুন-শংসাপত্র নিলেন ঋতব্রত

এক সময় কৃষ্ণনগরে ২০টিরও বেশি বেকারি ছিল। পরে সংখ্যাটা কমে ১৮ টি বেকারি চলত। করোনার মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে ধুঁকতে থাকা গোটা দশেক বেকারি গত দু’বছরে ক্রিসমাসের মরশুমে কেক বিক্রি ঘিরে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। বর্ধিষ্ণু কৃষ্ণনগরে বেকারির কেকের চাহিদাও যথেষ্ট। তাই এই সময় কেকের সরঞ্জাম জোগাড়, কেকের ছাঁচ নামানো, মোড়ক-সহ নানা ধরনের চিন্তাভাবনা থাকে বেকারি মালিকদের। কৃষ্ণনগর ও আশপাশের মফসসল এলাকায় এই সময় কেকের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। আরশিপাড়া ১ ও ২, ডন বসকোর বাচ্চু কলোনির মতো এগারোটি পাড়াজুড়ে ক্রিশ্চানদের সংখ্যা প্রায় ৫৫০০-৭৫০০। গোটা কৃষ্ণনগরে ১১ হাজারের বেশি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। শুধু তাঁরাই নন, এই সময় আমবাঙালির বাড়িতেও কেকের কদর বাড়ে। চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে পারে না স্থানীয় বেকারিগুলো। তার উপর এবার ডিম-সহ অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়া নিয়ে বেকারি মালিকরা আশঙ্কায় রয়েছেন। স্থানীয় বেকারি মালিক দুলাল সাহা বলেন, শীতে ডিমের চাহিদা বাড়ে। জোগান কমের জন্য দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবার অনেকটাই বেড়েছে। কেকের দামও তাই বাড়বে। সেই কেক বিক্রি নিয়ে তাই উদ্বেগ থাকছেই।

Latest article