প্রতিবেদন: বিজেপি রাজ্যে মুষলপর্ব শুরু হল৷ মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় শরিকি গোলযোগ তীব্র হতে শুরু করেছে৷ মুম্বই থেকে সপরিবারে দিল্লি উড়ে এসে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের (Devendra Fadnavis) বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। এমনই দাবি মহারাষ্ট্রের শাসক শিবির সূত্রে৷ শিন্ডের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে শিবসেনা সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডেও৷ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যেভাবে গত আড়াই বছর ধরে রাজ্য চালিয়েছেন সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis) তা করছেন না, নিজের ঘনিষ্ঠ নেতাদের ছাড়া অন্য কাউকে পাত্তা দিচ্ছেন না, প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই অভিযোগ করেছেন একনাথ শিন্ডে৷ এমন ঘটনা চলতে থাকলে রাজ্যে ক্ষমতাসীন শাসক শিবির অচিরেই সমস্যায় পড়বে, এই হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শিন্ডে৷ আর মহারাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সরকার পরিচালনায় একনাথ শিন্ডের ক্ষোভের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দু’জনেই পরিস্থিতি পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁকে৷ উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরানোর যে সিদ্ধান্ত বিজেপি নিয়েছে, তা একেবারেই ভাল চোখে দেখেননি বিক্ষুব্ধ শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে৷ টানা আড়াই বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরে এবার চাপের মুখে ঢেঁকি গেলার মতো অবস্থায় পিছু হটতে হয়েছে তাঁকে, জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে৷ এই পিছু হটা তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে, ঘনিষ্ঠ মহলে সাফ জানিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। এরপর রাজ্য মন্ত্রিসভায় দফতর বণ্টন নিয়ে দু’জনের মতানৈক্য সামনে আসে৷ এই আবহে দেবেন্দ্র ফড়নবিশও জানতেন যে একনাথ শিন্ডে তাঁর অধীনে কাজ করতে চাইবেন না৷ কিন্তু শিন্ডে যে সরাসরি দিল্লি পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে অভিযোগ জানাবেন, এটা ফড়নবিশের কল্পনার বাইরে ছিল৷ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মুম্বই ফেরার আগে একনাথ শিন্ডে অবশ্য সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, তাঁর এদিনের সাক্ষাৎ পুরোপুরি সৌজন্যমূলক ছিল এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে দিল্লি এসেছিলেন৷
আরও পড়ুন: টাকার মূল্যে ফের সর্বনিম্ন পর্যায়ের পতন