ব্যুরো রিপোর্ট : জেলায় জেলায় শুনানির নামে চরম হয়রানি করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বৃদ্ধবৃদ্ধা থেকে অসুস্থ— কারও রেহাই নেই। মানুষের অবর্ণনীয় দুর্দশার তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। যার জেরে বাধ্য হয়ে নির্বাচন কমিশন নিয়ম শিথিল করছে। কিন্তু তার আগেই ভোগান্তির শিকার অসংখ্য মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে এল সেই দুর্ভোগের ছবি। দুর্গাপুরে দেখা গেল ৭৫ বছরের প্রৌঢ়া জামাইয়ের কাঁধে ভর করে হাজির হলেন শুনানিতে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। তাই ডাক পান। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের অভিযোগ, শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের নাম মুছে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।
আসানসোল হিরাপুর ৭৮ ওয়ার্ড এলাকায় বাসিন্দা নারায়ণবাহাদুর ছেত্রী মায়ের শরীর অসুস্থতার কারণে নেপালে আছেন। তাঁর স্ত্রী সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে গেলেও কাজ হয় না। ভিডিও কলেও কথা বলতে চান না আধিকারিকরা
নদীয়ার শান্তিপুরে শুনানি পর্বে লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রৌঢ়। তৃণমূলের তত্ত্বাবধানে তাঁকে ভর্তি করা হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দার নাম উজ্জ্বল বিশ্বাস, বয়স আনুমানিক ৫২। ফুলিয়ায় হিয়ারিংয়ে এসে লাইনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন-সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কোণঠাসা মোদি সরকার
নির্বাচন কমিশনের অমানবিক কর্মকাণ্ডের শিকার কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী দিলীপকুমার চৌধুরিও। বীরভূমের সাঁইথিয়া বিধানসভার দেড়পুর গ্রামের বাসিন্দা। কিছুদিন আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভালো করে হাঁটতে পারেন না। নোটিশ পেয়ে অসুস্থ শরীর নিয়েই প্রায় কুড়ি কিলোমিটার উজিয়ে আহমদপুর ব্লক অফিসে হাজিরা দিতে যান। সাঁইথিয়ার ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান বলেন, দলের সম্পাদকের নির্দেশে আমরা ব্লক অফিসের বাইরে সহায়ক কেন্দ্র করেছি। বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষদের সহায়তা।

