সংবাদদাতা, বোলপুর : রবিবার ছুটির দিনে সকাল থেকেই চলছে জোর প্রচার। দশটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাওয়া গিয়েছে। বোলপুরে তাই ১২টি ওয়ার্ডে প্রচার চলছে। পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর (Trinamool Congress) সুকান্ত হাজরা ঢাকের বাদ্যি ও কাঁসর বাজিয়ে জনসংযোগে নেমে পড়লেন। তরুণ সমিতি ক্লাবের কাছে প্রসাদ লাইব্রেরি থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা বলছেন। বয়স্ক মানুষের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিচ্ছেন। কখনও পথচলতি মানুষের সঙ্গে, কখনও ভ্যান চালকের সঙ্গে কথা বলছেন, প্রতিনমস্কার করছেন। ২০১৫ থেকে রাজনীতির ময়দানে বিভিন্ন দায়িত্ব সামলাতে হলেও, তৃণমূলের (Trinamool Congress) জন্মলগ্ন থেকেই দল করছেন, জানালেন গত বছরের কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরা। মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প কতটুকু মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছেন? সুকান্ত জানালেন, বাংলা আবাস যোজনায় তাঁর ওয়ার্ডে ১৫০ জন বাড়ি পেয়েছেন। এখন ৩০–৪০ জন বাকি আছে। ভোট মিটলে পর্যায়ক্রমে পেয়ে যাবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ১০০ শতাংশ মানুষ পেয়ে গিয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৯৯ শতাংশ মহিলা টাকা পাচ্ছেন। সামনের মার্চের দুয়ারে সরকারে বাকি এক শতাংশ পেয়ে যাবেন। এই এলাকাটি উঁচু জায়গাতে, তাই ইন্দো–জার্মান প্রকল্পের বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সুবিধা থেকে মাত্র ৩০–৪০ ঘর পায়নি। সেটা দেখা হচ্ছে। আপাতত চারটি সাবমার্সিবল বসিয়ে সেই অভাব পূরণ হচ্ছে। পয়ঃপ্রণালী, জঞ্জাল সাফ এবং আলোর সুব্যবস্থা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সুফল এবং অনুব্রত মণ্ডলের তদারকির সুফল ইভিএমে মিলবে। দুবরাজপুরে পাঁচটি ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায়, এগারোটি ওয়ার্ডে নির্বাচন হবে। ১২ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সাগর কুণ্ডু জোরদার চালান।