প্রতিবেদন: ভোটার তালিকায় কারচুপির ভয়াবহ তথ্য ফাঁস হয়ে গেল যোগীরাজ্যের নির্বাচন কমিশনের অন্তর্তদন্তেই। ভোটার তালিকায় খোঁজ পাওয়া গেল ১ কোটি সন্দেহজনক ভোটারের। অদ্ভুত কাণ্ড! কোনও কোনও ভোটারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ভোটার তালিকায় নাম এবং অন্যান্য তথ্য একই’ কিন্তু ঠিকানা এবং ছবি সম্পূর্ণ আলাদা। অনেকের ক্ষেত্রে আবার একই নাম। এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌলতেই বেআব্রু হয়েছে এই ঘোরতর অসঙ্গতি। আরও স্পষ্ট করে বললে, ধরা পড়েছে ভোটার তালিকায় ঘোরতর দুর্নীতি বা কারচুপি। লক্ষণীয়, উত্তরপ্রদেশে ভোটার তালিকা যাচাই করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ব্যবহার এই প্রথম। যোগীরাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই অন্তর্তদন্ত চালিয়েছিল।
আরও পড়ুন-পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে চম্পট পাঞ্জাবের বিধায়কের
অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল,‘দ্য রিপোর্টার্স কালেক্টিভ’-এর তথ্যের দাবি, বিহারের বাল্মিকীনগর বিধানসভায় অন্তত ১০০০ এমন ভোটার আছে যাঁরা আদতে যোগীরাজ্যের ভোটার। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অন্তর্তদন্তেই যোগীরাজ্যের ভোটার তালিকায় এমন ভয়ঙ্কর কারচুপির তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। স্তম্ভিত সাধারণ মানুষও। সকলেরই বদ্ধমূল ধারণা, বিজেপির অঙ্গুলীহেলনেই এই ভয়াবহ কারচুপি করেছিল কমিশনই। কিন্তু এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাই হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল। বিহারে ভোটার তালিকায় যখন ধরা পড়ছে একের পর এক ভয়াবহ অসঙ্গতি, দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিজেপি-কমিশনের নির্লজ্জ কারচুপি, এসআইআরের নামে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চলছে প্রকৃত নাগরিকদের, ঠিক তখনই যোগীরাজ্যে ধরা পড়ল ভোটার তালিকায় এই ভয়ঙ্কর কেলেঙ্কারি।
শাক দিয়ে মাছ ঢাকার প্রচেষ্টাও শুরু হয়ে গিয়েছে যোগীরাজ্যে। সন্দেহজনক ভোটারদের বাড়ি গিয়ে যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্লক পর্যায়ের আধিকারিক এবং জেলাশাসকদের। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দাবি, সংবেদনশীল বুথগুলিতে ভুয়ো ভোটার ধরতে এবারে বিশেষ ভূমিকা নেবে ফেস রেকগনিশন সিস্টেম।