আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরই পুজো। কলকাতা -সহ গোটা বাংলা জুড়ে এখন সাজোসাজো রব। আর পুজো মানেই আলোর ছটা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন এবার, পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের বিলে ছাড় দেওয়া হবে ৬০ শতাংশ। আর আজ, শুক্রবার থেকে রাজ্যবাসীর জন্য পুজোর দিনগুলিতে ২৪ঘন্টা কন্ট্রোল রুম খুলে দিল বিদ্যুৎ দফতর (Electricity Department)। আগামী ২ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত চালু থাকবে এই কন্ট্রোল রুম। যার টোল-ফ্রি নম্বর ১৯১২১। এছাড়াও আরও দুটি মোবাইল নম্বর চালু রাখা হয়েছে। নম্বরগুলি হলো ৮৯০০৭৯৩৫০৩/৮৯০০৭৯৩৫০৪.
গোটা রাজ্যজুড়ে পুজোর মরশুমে বিদ্যুৎ পরিষেবা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ভবনে (Electricity Department) এই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলেই জানালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পরিষেবা সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ ফোন করে জানানো যাবে এই কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলিতে। পুজোর দিনগুলিতে তিনিও একঘন্টা করে এই কন্ট্রোলরুমে এসে বসবেন বলেও জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যানজট যেন না হয়, সুজিতকে মুখ্যমন্ত্রী
এছাড়াও পুজোর মরশুমে দিনরাত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার জন্য ২৩৭০টি মোবাইল ভ্যান ছাড়াও অতিরিক্ত ৯২০টি মোবাইল ভ্যান রাস্তায় থাকবে। বিদ্যুৎ পরিষেবায় ৬৯ হাজার ৯৮১ জন স্থায়ী ও ঠিকাকর্মী পুজোর সময় পরিষেবার কাজে যুক্ত থাকবেন। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের পুজোর ছুটি বাতিল করা হয়েছে মানুষের সুবিধা ও পরিষেবা প্রদানের জন্য। এছাড়াও মন্ত্রী জানিয়েছেন, যে কোনও আপৎকালীন সমস্যা মোকাবিলার জন্য বিদ্যুৎ দফতরের সমস্ত রিজিওনাল ম্যানেজার এবং ডিভিশনাল ম্যানেজাররা সর্বদা সতর্ক থাকবেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। পুজোর সময় কোনওরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এবং দুর্ঘটনা এড়াতে সমস্তরকমের নিরাপত্তমূলক ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে এবং পূজো কমিটিগুলির কাছে থেকেও এই মর্মে আদর্শ নির্দেশিকা অনুযায়ী একটি ঘোষণাপত্র নেওয়া হয়েছে। প্রাক-পুজো রক্ষণাবেক্ষণের কাজও ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবছর পুজোর সময় ১০৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সংস্থান করা হয়েছে।
পুজো কমিটিগুলির কাছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আবেদন, “আপনাদের যত বিদ্যুৎ লাগবে ততটাই জানাবেন। তবে বিদ্যুৎ কম আবেদন করে বেশি নেবেন না। যতটুকু দরকার ততটাই নিন। সেভাবেই আমরা ব্যবস্থা করবো। শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহ করা নয়, মানুষকে বিদ্যুৎ সম্পর্কে সচেতন করাও আমাদের কাজ। আগামিদিনে দুয়ারে সরকারেও ক্যাম্পে বিদ্যুৎ বিষয়ক বিষয়গুলি নিয়েও একটি শিবির থাকবে।”