রেশনে কারচুপি আটকাতে খাদ্য দফতর রাজ্যের একুশ হাজার রেশন দোকানে বৈদ্যুতিন ওজন যন্ত্র বসানোর কাজ শুরু করেছে। আগামী মাসের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে। ওই বৈদ্যুতিন ওজন যন্ত্র রেশন দোকানে থাকা ই-পস যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। প্রত্যেক গ্রাহক কত খাদ্যশস্য তুলছেন তা ওই যন্ত্রের মাধ্যমে খাদ্য দফতরের কেন্দ্রীয় সার্ভারে নথিভুক্ত হবে। এর ফলে রেশন ব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ হবে এবং গ্রাহকেরা বরাদ্দ অনুযায়ী খাদ্যশস্য পাচ্ছেন কিনা তার ওপর কেন্দ্রীয় ভাবে নজরদারি করা সম্ভব হবে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে। গণবন্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে খাদ্য দফতর সারা রাজ্যে চোখের রেটিনা স্ক্যান করে আধার যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করার পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে রেটিনা স্ক্যান করার এই প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। একই সঙ্গে তৃণমূলস্তরে নজরদারি বাড়াতে খাদ্য দফতর নিজেদের অধিকরণ ও সদর দফতরের কর্মীদের জেলায় বদলির অধ্যাদেশ জারি করেছে। খাদ্য দফতরে বহু পরিষেবা অনলাইনে চালু হওয়ার ফলে সদর দফতরে কর্মীর প্রয়োজন কমাতেই জেলাস্তরে কর্মী ঘাটতি মেটাতে নতুন বদলি নীতি চালু করা হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে ২১ হাজার রেশন ডিলারের অধীনে ৯ কোটি ২০ লক্ষের কাছাকাছি রেশন গ্রাহক রয়েছেন। নতুন ডিলারদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিলার-পিছু গ্রাহক সংখ্যা ৩০০০-এর মধ্যে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে খাদ্য দফতর। এদিকে চোখের রেটিনা স্ক্যান করে রেশন গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করে রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়া ১ মার্চ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি জেলার পাঁচটি করে রেশন দোকানে চালু করা হয়েছে। খাদ্য দফতর ডিলারদের এই কাজের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- দ্য কেরালা স্টোরি: রাজ্যের বক্তব্য জানতে চাইল শীর্ষ আদালত