ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হাতি

পিছনে পিছনে যান বনকর্মীরা। ছিলেন বিশেষজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসকও। হাতিটি জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে পড়ে যায়। তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

Must read

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : দলমার বদমেজাজি বুনো হাতি ধরতে বৃহস্পতিবার বিশেষ অভিযানে নেমেছিল বনবিভাগ। অভিযান অনেকটাই সফল। ঘুমপাড়ানি গুলিতে শেষমেশ কাবু করা গিয়েছে পালের গোদা বড় দাঁতালটিকে। দলমা থেকে আসা তিনটি হাতির দল লোকালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। মানুষও মারে। আক্রমণাত্মক হাতিদের ধরতে এদিন ঝাড়গ্রামের বাঁদরভোলা ফরেস্ট বিটের জোয়ালভাঙার জঙ্গল থেকে নিয়ে আসা হয় উত্তরবঙ্গ থেকে আনা দুটি কুনকিকে। সঙ্গে ঘুম পাড়ানিগুলি করার বিশেষ দল।

আরও পড়ুন-সম্প্রীতির পুজোয় মহাদেশ পূজিতা হন ভৈরবী কালী রূপে

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বন দফতরের সিসিএফ এপি সিং, পিসিসিএফ রাজেশ কুমার, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর ও খড়্গপুরের ডিএফও সঙ্গে মহকুমা শাসক, পুলিশ আধিকারিকরা অভিযানে নামেন। বদমেজাজি হাতির মধ্যে একটি বড় দাঁতাল আরও দুটি হাতির সঙ্গে জোয়ালভাঙা জঙ্গলে রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বড় দাঁতালটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়। গুলি খেয়ে হাতিটি খুব জোর ছুটে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।

আরও পড়ুন-জেডিএ-র তৎপরতায় বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা জয়গাঁর

পিছনে পিছনে যান বনকর্মীরা। ছিলেন বিশেষজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসকও। হাতিটি জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে পড়ে যায়। তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তাকে জঙ্গল থেকে বের করে আনার উদ্যোগও চলছে। দুটি কুনকি হাতির পিঠে চেপে রাইফেলম্যান ও কয়েকজন অভিযান চালিয়েছিলেন। কুনকি হাতি দিয়ে বুনো হাতি ধরার খবর পেয়ে বহু মানুষজন ভিড় করেছেন। তিনটি হাতির একটি দল তাণ্ডব চালায়। তার মধ্যে সব থেকে বড় একটি দাঁতাল ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। মানুষ মেরেছে, চালিয়েছে তাণ্ডব। তাকে কাবু করায় অনেকটা স্বস্তি মিলল।

Latest article