দুর্গত এলাকায় মুখ্যসচিব, জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ বিলি

বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের মাঝেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেব জানান, বছরের পর বছর বন্যার সময় ঘাটালের মানুষ খুবই কষ্টে থাকেন।

Must read

প্রতিবেদন : এখনও জলমগ্ন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বহু এলাকা। জলের তলায় পাঁশকুড়া, ঘাটাল, আমতা, উদয়নারায়ণপর, খানাকুল, পুরশুড়া-সহ বিভিন্ন এলাকা। একেই জল নামেনি, তার উপর নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে শঙ্কিত বানভাসি মানুষজন। এর মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিভিন্ন জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্গতদের ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব, জেলা প্রশাসন। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হুগলির পুরশুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

আরও পড়ুন-ডিভিসি থেকে পদত্যাগ করলেন বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসু

দুর্গতদের হাতে ত্রাণসামগ্রীও তুলে দেন তিনি। বলেন, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসব। বারবার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হবে৷ ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের খারাপ পরিস্থিতি না হয়, সেদিকেও নজর রাখা হবে। পুরশুড়ার হাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ত্রাণশিবিরে মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। খানাকুলে হুগলির জেলাশাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও কর্মাধ্যক্ষদের উদ্যোগে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটালের পরিস্থিতিও এখনও অনেকটাই খারাপ। রবিবার ঘাটালের অজবনগর এলাকায় বোটে চড়ে মন্ত্রী ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন দেব। পাশাপাশি অজবনগর এলাকায় বন্যাকবলিতদের হাতে শুকনো খাবার, জল ও ত্রিপল-সহ ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন দেব ও মন্ত্রী জাভেদ খান।

আরও পড়ুন-”আমি ডিভিসির কমিটি থেকে আমার প্রতিনিধি তুলে নিচ্ছি” প্রধানমন্ত্রীকে ফের চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের মাঝেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেব জানান, বছরের পর বছর বন্যার সময় ঘাটালের মানুষ খুবই কষ্টে থাকেন। এখনও জলে ডুবে রয়েছে বাড়ি-ঘর, সেখানে প্রচুর মানুষ রয়েছেন, তাঁদের কাছে যাতে দ্রুত শুকনো খাবার-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণের সামগ্রী পাঠানো যায় সেই চেষ্টা চলছে। হাওড়ায় উদয়নারায়ণপুর থেকে জলস্তর কিছুটা নামলেও আমতার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। অন্যদিকে, পাঁশকুড়া শহর ও ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন। এই পরিস্থিতিতে দুর্গত মানুষদের পাশে থাকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ-প্রশাসন। স্পিডবোটে করে পানীয় জল, শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Latest article