প্রতিবেদন : সলিল চৌধুরির একান্ত অনুগামী তিনি। তাঁর সুর আর লেখায় সে ছাপ স্পষ্ট আঁকা। সুবীর সেনের ব্যারিটোন যখন গেয়ে ওঠে ‘সারাদিন তোমায় ভেবে, হল না আমার কোনও কাজ’, তখন এই ফাল্গুনি হাওয়ারও মনকেমন করে। বাংলা ভাষার গর্বিত অধিকার উচ্চরণের দিনটিতেই বাংলা আধুনিক গানের স্বরলিপি থেকে খসে গেল এক সুরেলা অধ্যায়। ‘এখনও সারেঙ্গিটা বাজছে’, ‘এত সুর আর এত গান’— এমনই মণিমুক্তোর স্রষ্টা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়াত। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন প্রবীণ শিল্পী। হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-বোর্ডের চুক্তিতে ঋদ্ধির থাকা নিয়ে সংশয়
সম্প্রতি ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফেরেন। তারপরই আচমকা সোমবার পথচলা থেমে গেল। তিনি রেখে গিয়েছেন স্ত্রী, দুই পুত্র এবং এক কন্যাকে। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘তাঁর সংগীত পরিচালনায় গান গেয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁশলের মতো প্রবাদপ্রতিম শিল্পীরা। তাঁর সংগীত পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য অ্যালবাম : অন্তর মন্দিরে জাগো, মেঘের সমুদ্দুরে, নিরুদ্দেশের পথিক, তিস্তা আমার, সূর্যের এক নাম বিবেকানন্দ। সুরারোপিত উল্লেখযোগ্য গান : ও পাখি উড়ে আয়, যদি কানে কানে ইত্যাদি।’ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষশ্রদ্ধার জন্য দেহ শায়িত থাকবে বাণীচক্রে।