সংবাদদাতা, রামপুরহাট : স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রথম ও শেষ কথা। এর সঙ্গে কোনও আপস নয়। এই আলোচনা উঠে এল রবিবারের উন্নত পরিষেবা শীর্ষক বৈঠকে। রামপুরহাট (Rampurhat medical college) নিশ্চিন্তপুরের তারাবিতানের এই বৈঠকে ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি পলাশ দাস, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক বিধান রায়, মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, সাংসদ শতাব্দী রায় এবং অসিত মাল। হাসপাতালের দালালচক্র নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে। অভিযোগ ফোন করলে ফোন ধরা হয় না। পাশাপাশি, সিসিটিভি দেখে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। মাস দুয়েকের মধ্যে এ নিয়ে ফের পর্যালোচনা বৈঠকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি থেকে স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল হয়ে এখন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Rampurhat medical college) উন্নীত হয়েছে। অভিযোগ, এক শ্রেণির দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগীরা। শতাব্দী রায় অভিযোগ করেন, একজন রোগীর জন্য তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাননি। বাধ্য হয়ে রোগীকে নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হয়। তাঁর ক্ষোভ, আমরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে পরিষেবা পাবে! এভাবে চলতে পারে না। আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাংসদ অসিত মাল বলেন, হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে অসাধু কর্মী এবং দালাল চক্র রোগীদের নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য করে। হাসপাতালে উন্নত পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে এক্স রে, ইউএসজি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বাধ্য করছে দালাল চক্র। এসব বন্ধ করতে হবে। রোগীদের সঙ্গে নার্সিং স্টাফদের দুর্ব্যবহার বন্ধ হওয়া দরকার।