প্রতিবেদন : রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ আরও ভাল করে পৌঁছে দিতে নতুন প্রায় দেড় হাজার বাংলা সহায়তা কেন্দ্র তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে ৩৫৬১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে। যেখানে রাজ্য সরকারের ৪০টি দফতরের ২৯২টি পরিষেবার সুযোগ মেলে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৭ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে পরিষেবা পেয়েছেন। নতুন করে আরও ১৪৩১টি নতুন বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হবে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চার হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের দরজা খুলে যাবে। এবার সারা রাজ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যেই নতুন বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে জেলা প্রশাসনগুলিকে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-নিশার হারে জোর বিতর্ক
নতুন করে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ন্যূনতম যেসব সরঞ্জাম দরকার, সেসব আগেই পৌঁছে গিয়েছিল জেলায় জেলায়। এবার সেগুলি ঠিকমতো সাজিয়ে গুছিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করে দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় যাতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে পরিষেবা প্রদান অবাধে করা যায়, তার জন্যই দিনে দিনে কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করার উপর জোর দিয়েছে
রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি পুরসভার সম্পত্তি করও বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে জমা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে এবার থেকে পুরসভায় গিয়ে লাইন দিয়ে এই কাজ আর করতে হচ্ছে না পুর এলাকার বাসিন্দাদের। পরিবর্তে তাঁদের ভিড় বাড়বে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে। এই বাড়তি চাপ যাতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি নিতে পারে তার জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। আর তাই আগামী দিনের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার নতুন করে ১৪৩১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে অস্থিরতার জের, পুরনো মেলার মাঠে বৃক্ষরোপণ
ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফ থেকে কোন জেলায় কতগুলি নতুন বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হবে, সেই তালিকাও প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৫৯টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলা হবে। এটাই রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ১০০’র বেশি নতুন বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু হতে চলেছে। অন্যান্য জেলাতেও নতুন বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের সংখ্যা নেহাত কম নয়। শুধু তাই নয়, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে রাজ্যের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৫০ কোটির বেশি টাকা। লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি স্থাপনের প্রশাসনিক অনুমোদন এসে গিয়েছিল। নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার ফলে সেগুলি শুরু করা যাচ্ছিল না। এখন আর কোনও বাধা নেই। তাই দ্রুত পরিকাঠামো তৈরি করে কেন্দ্রগুলি চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবথেকে বড় কথা এই নতুন বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলির জন্য ৪ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের দরজা খুলে যেতে চলেছে। খুব দ্রুত ৪২৯৩টির মতো পদে লোক নেওয়ার বিজ্ঞপ্তিও।