প্রতিবেদন : মোদি সরকারের লাগাতার বঞ্চনা সত্ত্বেও একশো দিনের শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে প্রভূত সাফল্য পেল রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একশো দিনের কাজের পরিবর্তে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পে ৫০ দিনের কাজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কথা রেখে কর্মশ্রী প্রকল্পে ৪৩ লক্ষের কর্মসংস্থান ঘটালেন তিনি। এখন পর্যন্ত বাংলার ৪৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন কর্মশ্রীতে।
আরও পড়ুন-রাজ্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট যাচাই
কেন্দ্রের দুয়োরানিসুলভ আচরণ সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গ্রামীণ কর্মসংস্থানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বাংলার জনগণের জন্য বছরে গড়ে ৫৩ দিনের গ্যারান্টিযুক্ত কাজ নিশ্চিত হয়েছে। বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকারের প্রধান লক্ষ্য, প্রতিটি পরিবারের জন্য ক্ষমতায়ন। মানুষকে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের সেই সাফলের খতিয়ান তুলে ধরে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছে তৃণমূল। জবকার্ডধারীরা ৫৩ দিন করে কাজ পেয়েছেন। একের পর এক বঞ্চনার পর বাংলায় বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। তারপরও শিক্ষা নেয়নি কেন্দ্রের মোদি সরকার। বাংলাকে বঞ্চনা করেই চলেছে। মনরেগা প্রকল্পের আওতায় ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য ন্যায্য টাকা এখনও আটকে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মহিলা নিরাপত্তায় অ্যাপ ক্যাবে নয়া নির্দেশ
এই অবস্থায় রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুগান্তকারী পদক্ষেপ ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প। গড়ে ৫০ দিন কাজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানে ৫৩ দিন করে কাজ পেয়েছেন তাঁরা। কর্মদিবস সৃষ্টির নিরিখে প্রথম দিকে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া জেলা। সর্বোচ্চ ৫৮ দিন করে কাজ পেয়েছেন শ্রমিকরা। উত্তর ২৪ পরগনায় ২ কোটি কর্মদিবস সৃষ্টি হয়েছে। জেলায় ১৮টি দফতর থেকে বিভিন্ন কাজ দেওয়া হয়েছে। গত ১ এপ্রিল থেকে চালু হয়েছে ‘কর্মশ্রী’। সেই মতো জবকার্ড হোল্ডারদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। রাজ্য জুড়ে এই প্রকল্পে ৪২ লক্ষ ৬২ হাজার ২৪০ জন শ্রমিক কাজ পেয়েছেন ২ লক্ষের বেশি স্কিমে। তৈরি হয়েছে মোট ২২ কোটি ৮৪ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৩৩ কর্মদিবস। এদিন এক ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, বাংলা শুধু সেতু গড়ে না, জীবন-জীবিকা গড়ে দেয়।