প্রতিবেদন : নারী ক্ষমতায়ন কাকে বলে আবারও দেখিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের ক্ষেত্রে বাংলা জুড়ে মহিলাদের জয়জয়কার। জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ- সভাধিপতি তো বটেই, এমনকী বহু ক্ষেত্রে বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদেই রয়েছেন মহিলারা। হিসেবের নিরিখে যদি ধরাও যায় ২০টি জেলা পরিষদ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে এসেছে। এর মধ্যে শুধু সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি ধরলে মহিলাদের সংখ্যা সবক’টি জেলা মিলিয়ে প্রায় শতাংশের বিচারে ৪৯ শতাংশ। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে তো বটেই, মহিলাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গোটা দেশেই এই পরিসংখ্যান চমকে দেওয়ার মতো। এই অসাধ্যসাধন করে দেখিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার নতুন মুখের ভিড় গোটা বাংলা জুড়েই। যেসব মহিলারা সভাধিপতি বা সহ-সভাধিপতি হয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই নতুন মুখ। দল তাঁদের কাঁধেই গুরুদায়িত্ব সঁপেছে। তাঁরা নিজেরাও আত্মবিশ্বাসী। জেলায় সকলকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনে উন্নয়নকে পাখির চোখ করে তাঁরা চলতে চান। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নবজোয়ার কর্মসূচির সময় বারবার বলেছেন, মানুষের পঞ্চায়েত গড়বেন তিনি। যাঁরা নির্বাচিত হবেন তাঁরা মানুষের জন্য মানুষের পাশে থেকে কাজ করবেন। বোর্ড গঠন শেষে দেখা যাচ্ছে অভিষেক যা বলেছিলেন ঠিক তাই হয়েছে। তৈরি হয়েছে মানুষের পঞ্চায়েত। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত (Panchayat Board) ব্যবস্থার প্রত্যেকটি স্তরেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন মহিলারা। এর আগে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে, বিধানসভায় ও তাঁর মন্ত্রিসভায় মহিলাদের সামনের সারিতে এনেছেন। গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন। যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে নিজেকে তুলে ধরেছেন। পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও বাংলা জুড়ে সেই ধারা বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন- যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুতে গ্রেফতার আরও ৬