মেলবোর্ন, ১৩ নভেম্বর : ইমরান খান হওয়া হল না বাবর আজমের! বরং পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ৩০ বছর আগের হারের বদলা নিলেন জস বাটলাররা। ১৯৯২ সালে এই মাঠেই ইংল্যান্ডকে (England) হারিয়ে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। রবিবার এমসিজিতে সেই হারের কলঙ্ক মুছে দিলেন ইয়ান বথামদের পরবর্তী প্রজন্ম। একই সঙ্গে দ্বিতীয়বার টি-২০ ক্রিকেটে বিশ্বসেরা হওয়ার সম্মান ছিনিয়ে নিলেন বাটলার অ্যান্ড কোং।
২০১৯ সালে দেশের মাটিতে আয়োজিত ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে কাপ উপহার দিয়েছিলেন বেন স্টোকস। এদিনও কঠিন সময়ে ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ রানের একটা ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে দিলেন বিগ বেন। বাঁ হাতি ইংরেজ পেসার স্যাম কারেন (৩-১২) ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হলেও, স্টোকসের ইনিংসটাই বাটলারের হাতে কাপ তুলে দিল। ওয়ান ডে-র খেতাব ধরে রাখার পাশাপাশি টি-২০ ক্রিকেটেও বিশ্বসেরা ইংল্যান্ড (England)। একই সঙ্গে দুই ফরম্যাটে বিশ্বসেরা হওয়ার কৃতিত্ব আর কোনও দেশের নেই।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাটলার। মেঘলা আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। মহম্মদ রিজওয়ানকে (১৫) আউট করে পাকিস্তানকে প্রথম ধাক্কা দেন কারেন। এরপর মহম্মদ হ্যারিস (৮) ও বাবর আজমকে (৩২) প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান আদিল রশিদ। ইফতিকার আহমেদ শূন্য রানে স্টোকসের শিকার হন। এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। বিপর্যয়ের মুখে কিছুটা লড়াই করেন শান মাসুদ (২৮ বলে ৩৮) ও শাদাব খান (১৪ বলে ২০)।
তবে কম রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই করেছে পাকিস্তান। প্রথম ওভারেই অ্যালেক্স হেলসকে (১) আউট করেন শাহিন আফ্রিদি। ফিল সল্ট (১০) ও বাটলার (২৬) হ্যারিস রাউফের শিকার। এরপর হ্যারি ব্রুককে (২০) শাদাব খান আউট করলে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ওই সময় নড়বড়ে দেখাচ্ছিল স্টোকসকেও।
শেষ পাঁচ ওভারে জেতার জন্য ৪১ রান দরকার। ওই পরিস্থিতিতে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে খোঁড়াতে থাকেন শাহিন আফ্রিদি। কয়েক ওভার আগেই ব্রুকসের ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন পাক পেসার। সেই চোটটাই পাকিস্তানের কাল হয়ে দাঁড়াল। মাত্র এক বল করেই খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন আফ্রিদি। ওই ওভার শেষ করেন ইফতিকার। তাঁর শেষ দুটো বলে পরপর চার ও ছয় মেরে চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেন স্টোকস। এরপর মঈন আলিকে (১২ বলে ১৯) সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সেরে ফেলেন। ১৯তম ওভারে মঈন আউট হলেও লিয়াম লিভিংস্টোনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন স্টোকস।