সাকা ম্যাজিকে শেষ চারে ইংল্যান্ড

নির্ধারিত সময়ে আর গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ফলাফল না হওয়ায় টাইব্রেকারে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়।

Must read

ডুসেলডর্ফ, ৬ জুলাই: বিশ্বকাপ হোক বা ইউরো, টাইব্রেকারে হারের দুঃস্বপ্ন ঘুচিয়ে স্বপ্নপূরণের আশায় ইংল্যান্ড। শেষ ইউরোয় ঘরের মাঠে ফাইনালে ইতালির বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল থ্রি লায়ন্সের। এদিন সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত বুকায়ো সাকার গোলে ম্যাচে ফিরে টাইব্রেকারে ৫-৩ ফলে জিতে ইউরোর সেমিফাইনালে চলে গেল গ্যারেথ সাউথগেটের দল। নির্ধারিত সময়ে খেলা অমীমাংসিত থাকে ১-১ গোলে। পেনাল্টি শুটআউটে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়।

আরও পড়ুন-ন্যায় সংহিতা : অমর্ত্যর তোপ

সাকা যদি ম্যাচের হন, টাইব্রেকারের নায়ক ইংল্যান্ড গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড। আলেক্সান্ডার আর্নল্ড-সহ ইংল্যান্ডের সবাই জালে বল জড়ালেও সুইজারল্যান্ডের ম্যানুয়েল আকাঞ্জির শট আটকে দেন ইংলিশ গোলকিপার। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডস-তুরস্ক ম্যাচের বিজয়ীর বিরুদ্ধে খেলবে ইংল্যান্ড।
সুইস আগ্রাসন থামিয়ে প্রতিআক্রমণে গোল তুলে নিতে ফর্মেশন বদলে ফেলেছিলেন সাউথগেট। চারের পরিবর্তে তিন ডিফেন্ডার খেলান ব্রিটিশ কোচ। ৩-৪-২-১ ফর্মেশনে অধিনায়ক হ্যারি কেন ছিলেন আপফ্রন্টে। উইথড্রলে অপারেট করেন জুড বেলিংহাম ও ফিল ফোডেন। সুইজারল্যান্ড কোচ মুরাট ইয়াকিনও আক্রমণাত্মক ফর্মুলায় রুবেন ভারগাস, ব্রিল এমবোলো ও ফাবিয়ান রিডারের ত্রিভুজকে কাজে লাগিয়ে শুরুতে গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু সাউথগেটের ছেলেরা সেই সুযোগ দেননি।
প্রথমার্ধে সুইজারল্যান্ডের থেকে অনেক জমাট ফুটবল খেলে ইংল্যান্ড। বলের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া করলেও দ্রুত বলের দখল নিয়েছেন জুড বেলিংহামরা। রাইট উইংয়ে বুকায়ো সাকা বল পেলেই কেঁপে যাচ্ছিল সুইস রক্ষণ। মাইকেল এবিশার, রডরিগেজদের অনায়াসে টপকে বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়ছিলেন সাকা। কিন্তু সুইস রক্ষণ ভুল করেনি। ইংল্যান্ডের মাঝমাঠে কোবি মইনু ছিলেন অনবদ্য। তবে ফাইনাল থার্ডে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি কেন, সাকারা।

আরও পড়ুন-সিকিমে ভূমিকম্প, ফেরানো হচ্ছে পর্যটকদের

গ্রানিথ জাকার নেতৃত্বে সুইজারল্যান্ড মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করেছে। ফ্রেলার, ভারগাস, এমবোলোরা গোলমুখ খুলতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকে আক্রমণে ঝাঁজ বাড়ায় ইংল্যান্ড। ছন্দে না থাকা ভারগাস, রিডারকে তুলে নেন সুইস কোচ। প্রতিআক্রমণে ইংলিশ রক্ষণে চাপ বাড়ায় সুইসরাও। ৭৫ মিনিটে ইংল্যান্ড রক্ষণের ভুলে গোল করে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। শারের বাড়ানো থ্রু বল ডানদিক থেকে ছ’গজ বক্সে রাখেন এনডোয়ি। ইংলিশ সেন্টার ব্যাক জন স্টোনসের পায়ে লেগে ফাঁকা গোলের সামনে দিয়ে বল বেরিয়ে যাওয়ার সময় শরীর ছুঁড়ে তা জালে জড়িয়ে দেন এমবোলো।
সুইসদের উৎসব অবশ্য স্থায়ী হয়নি। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। ৮০ মিনিটে অনবদ্য গোল করেন সাকা। রাইট উইংয়ে ডেক্লান রাইসের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ-দিকে ইনসাইড কাট করে ভেতরে ঢুকে দুরন্ত শটে গোল করেন। নির্ধারিত সময়ে আর গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ফলাফল না হওয়ায় টাইব্রেকারে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়।

Latest article