বার্মিংহাম, ১৫ জুন : ইংল্যান্ডের (England- Australia) আর পাঁচটা ক্রিকেট মাঠের চেয়ে এজবাস্টন মাঠের চেহারা একটু আলাদা। এখানে লোকে ক্রিকেটের থেকেও বেশি ‘সকার স্টাইল অ্যাটমস্ফিয়ার’ খুঁজে পায়।
শুক্রবার থেকে এই মাঠে অ্যাসেজের (Ashes test) দামামা বেজে যাচ্ছে। ২০২১-এ শেষবার ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ায় বেন স্টোকসরা ০-৪ হেরে এসেছেন। তাও আবার বড় বড় ব্যবধানে। ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে হার ৯ উইকেটে। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড হেরেছে ২৭৫ রানে। মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্টে তারা হেরেছে ইনিংস ও ১৪ রানে। আর হোবার্টে হার ছিল ১৪৬ রানে।
স্বভাবতই এমন পরিসংখ্যান ব্রেন্ডন ম্যাকালামের জন্য খুব সুখকর হচ্ছে না। কিন্তু ভেটারেন জিমি অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, ‘দুটো দলই সব বিভাগে খুব শক্তিশালী। আমি আলাদা কিছু দেখছি না।’ ইংল্যান্ড এই সিরিজে ফিরিয়ে এনেছে অলরাউন্ডার মঈন আলিকে। যিনি টেস্ট অবসর নিয়ে অনেকদিন আইপিএল-সহ সাদা বলের ক্রিকেটে মন দিয়েছেন। ইংল্যান্ড আগেই প্রথম এগারো ঘোষণা করে দিয়েছে। তাতে স্টুয়ার্ট ব্রড রয়েছেন। নতুন বলে তাঁর সঙ্গী অ্যান্ডারসন ও অলি রবিনসন। বাদ পড়েছেন মার্ক উড।
তবে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে ইংল্যান্ড যে জায়গায় আছে, তার থেকে ঢের ভাল জায়গায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ওভালে টেস্ট ফাইনালে তারা ভারতকে ২০৯ রানে হারিয়েছে। এতে যেমন কামিন্সদের মনোবল বেড়েছে, তেমনই ইংল্যান্ডের (England- Australia) পরিবেশের সঙ্গে সড়গড় হওয়াও হয়েছে। স্টিভ স্মিথ এই ম্যাচের আগে ইংল্যান্ডের বহুল চর্চিত ‘বাজবল’ নিয়ে বলেছেন, ‘ব্যাপারটা গত ১২ মাসে ভালই কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে ওদের পরীক্ষা হয়নি। সুতরাং এবার কী হয় সেটা দেখতে চাই।”
ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকস জানাচ্ছেন, অ্যাসেজই সেরা মঞ্চ। কিন্তু তিনি আরও বেশি করে ক্রিকেটকে উপভোগ করতে চান। সেইসঙ্গে তাঁর লক্ষ্য থাকবে টেস্ট ক্রিকেটকে সজীব রাখার। এমন কিছু করতে হবে যাতে ক্রিকেটাররা সবাই অনুপ্রাণিত হয়।
আরও পড়ুন-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কায় হবে এশিয়া কাপ