প্রতিবেদন : দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে থাকা ব্যাপম কেলেঙ্কারির নায়ক বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে বাংলা সম্পর্কে কোনও জ্ঞান শুনতে চাই না। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে আছে সেখানকার অনিয়ম নিয়ে আগে কথা বলুন। ত্রিপুরায় ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের পরিবার কী করবে আগে সেটা নিয়ে কথা বলুন তারপর বাংলা নিয়ে ভাববেন। শুক্রবার এভাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নয়, বিজেপি নেতা হিসেবে মিথ্যে কথা বলছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বাংলা সম্পর্কে কিছু জানেন না। এখানকার অযোগ্য পদার্থ রাজ্য বিজেপি নেতারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে দিল্লিকে ভুল তথ্য দেয়। মিথ্যে বলায়। ধর্মেন্দ্র প্রধান আগে মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারি সহ ত্রিপুরা ও অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের অনিয়ম দুর্নীতির কৈফিয়ত দিন তারপর বাংলার কথা বলবেন।
আরও পড়ুন-‘গোলি মারো শালোকো’ এত দ্রুত ভুলে গেলেন কী করে বিবেকবাবুরা?
শুক্রবার এ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনওরকম তথ্য না জেনে বিষয়ের গভীরে না ঢুকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে ভুল কথা বলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে যে ন্যূনতম তথ্য তাঁর কাছে থাকা উচিত সেটুকুও ছিল না। বাংলার বিজেপি নেতাদের শেখানো বুলি ক্যামেরার সামনে আউরে গিয়েছেন তিনি। এরপরই কুণাল ঘোষকে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি ধর্মেন্দ্র প্রধান সহ রাজ্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। কুণালের কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে বাংলা সবদিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে কী করে পারেন উনি এভাবে মিথ্যে কথা বলতে। আসলে উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নন, বিজেপি নেতা হিসেবে এখানকার অযোগ্য অপদার্থ রাজ্য বিজেপি নেতাদের শেখানো বুলি বলেছেন। যাঁরা নিজেদের ব্যর্থতা থাকতে দিল্লির নেতাদের সবসময় ভুল বোঝায়, মিথ্যা কথা বলায়। তীব্র কটাক্ষ কুণালের। তাঁর সংযোজন, উনি আগে দেখুন মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে কী হয়েছে। ত্রিপুরায় ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে বলুন সেই পরিবারগুলোর কী হবে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে ভূরি ভূরি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, আগে সেই কথাগুলো বলুন তারপর তো বাংলা নিয়ে কথা বলবেন।
আরও পড়ুন-আসানসোলে কারখানার ভিতর চলল গুলি, মৃত নিরাপত্তারক্ষী
স্কুলের পোশাক নিয়েও ধর্মেন্দ্র প্রধান কিছু না জেনেই এদিন সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়েও তাঁকে এক হাত নিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, উনি খোঁজ নিন বাচ্চাদের স্কুলের পোশাক কোনও বেসরকারি সংস্থা নয়, রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বানান। এতে কয়েক লক্ষ মহিলার কর্মসংস্থান হয়। রোজগার হয়। বাচ্চারাও বিনা পয়সায় স্কুলের পোশাক পায়। স্বরোজগার দফতরের মাধ্যমে এগুলির বরাত যায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাছে। বিজেপি নেতা আগে খোঁজ নিন স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো কীভাবে চলছে, কত মানুষ কাজ পাচ্ছেন, কীভাবে রোজগার হচ্ছে। বিজেপি নেতারা না জেনে কথা বলে নিজেরাই নিজেদের হাস্যাস্পদ করছেন। তীব্র কটাক্ষ কুণাল ঘোষের।