বার্লিন, ১৩ জুলাই : এক যুগ আগের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে তো! রবিবাসরীয় ইউরো ফাইনালের আগে এই প্রশ্নটাই ঘুরছে স্প্যানিশ ফুটবলপ্রেমীদের মুখে মুখে।
২০১২ সালে শেষবার ইউরো কাপ জিতেছিল স্পেন। সেই সময়টাকে স্প্যানিশ ফুটবলের সোনালি যুগ হিসাবে চিহ্নিত করে থাকেন ফুটবল পণ্ডিতরা। জাভি, ইনিয়েস্তা, ফাব্রেগাস সমৃদ্ধ সেই দলের স্মৃতি এবারের ইউরোতে উসকে দিয়েছেন লামিনে ইয়ামাল, নিকো উইলিয়ামস, দানি ওলমোরা। বিশেষজ্ঞরাও একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন, আরও একটা সোনালি প্রজন্ম পেয়ে গিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল। যাঁরা আগামী দিনে ফুটবল বিশ্বে রাজত্ব করবেন।
আরও পড়ুন-ফিকে হল গেরুয়া ঝড়, বদ্রীনাথে পরাজিত বিজেপি
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ ফুটবলপ্রেমী— প্রত্যেকেরই মুখে লুইস ডে লা ফুয়েন্তের প্রশংসা। যিনি দায়িত্ব নিয়েই ফিরিয়ে এনেছেন স্প্যানিশ ফুটবলের পুরনো গরিমা। ফুয়েন্তের হাত ধরে ফিরেছে তিকিতাকা। যাতে ভর করে ২০০৮ ও ২০১২— পরপর দুটো ইউরো জিতেছিল স্পেন। মাঝে জিতেছিল ২০১০ বিশ্বকাপও।
দল দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও, ফাইনালের আগে ফুয়েন্তেকে চিন্তায় রাখছে অধিনায়ক আলভারো মোরাতার অফ ফর্ম। এবারের ইউরোতে ৬ ম্যাচে মোরাতা গোল করেছেন মাত্র একটি। দাবি উঠছে, রবিবার তাঁকে বসিয়ে দেওয়ার। যদিও অধিনায়কের পাশেই দাঁড়িয়েছেন ফুয়েন্তে। স্প্যানিশ কোচের বক্তব্য, ‘‘মোরাতাকে নিয়ে অহেতুক বিতর্ক হচ্ছে। ও যথেষ্ট ভাল খেলছে। অফ দ্য বল একটাই ভাল খেলছে যে, অন্যরা গোল করার জায়গা পেয়ে যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, মোরাতা আমাদের দলের সুপারস্টার। স্প্যানিশ ফুটবল ইতিহাসে ও চতুর্থ টপ স্কোরার। ফাইনালে অবশ্যই মোরাতা খেলবে।’’
আরও পড়ুন-জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় ২০০ ফুট গভীর খাদে পড়ল বাস, মৃত ২
তরুণ তুর্কি ইয়ামাল এবং নিকো উইলিয়ানস যদি ফুয়েন্তের দলের দুই ডানা হন, তাহলে রদ্রি হলেন হৃদয়। এবারের ইউরোর সবথেকে ধারাবাহিক ফুটবলারদের তালিকার শুরুতেই নাম থাকবে স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে স্পেনের আক্রমণের শুরুটা করে থাকেন রদ্রি। নিখুঁত থ্রু বাড়াতে ওস্তাদ ম্যাঞ্চেস্টার সিটি তারকার কাঁধে ফাইনালে বিপক্ষের সেরা অস্ত্র জুড বেলিংহ্যামকে আটকানোর গুরুদায়িত্ব। স্প্যানিশ শিবিরের জন্য বাড়তি সুখবর, কার্ড সমস্যা কাটিয়ে দলে ফিরছেন দুই তারকা ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল ও রবিন লে নরমাঁ। সব মিলিয়ে তৃতীয় ইউরো কাপ জয়ের সন্ধিক্ষণে দাঁড়ানো স্প্যানিশ শিবিরে ফিলগুড হাওয়া বইছে।
রেকর্ড বই বলছে, ফাইনালে উঠলে স্পেন হারে না। রবিবারও কি সেই ইতিহাস অটুট থাকবে। নাকি, তিকিতাকাকে টেক্কা দিয়ে ৫৮ বছরের ট্রফি খরা কাটাবেন হ্যারি কেনরা। উত্তর দেবে সময়।