পাঁচবার বৈঠকের পরও অনুমোদন দিল না কেন্দ্র, মনীষী ও বিপ্লবীদের শ্রদ্ধায় সাজানো বাংলার ট্যাবলো

এবার ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে কেন্দ্রীয় সরকারের থিম হল বন্দেমাতরম এবং ‘সমৃদ্ধি কা মন্ত্র— আত্মনির্ভর ভারত’।

Must read

প্রতিবেদন : স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ভূমিকাকে সর্বভারতীয় মঞ্চে তুলে ধরতে বীর বিপ্লবী ও মনীষীদের ছবি দিয়ে সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো সাজিয়েছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত সেই ভাবনাকে এখনও অনুমোদন দিল না কেন্দ্রের সরকার। ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের অবসানে দেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন যে বিপ্লবীরা, তাঁদের সিংহভাগই ছিলেন বাংলার৷ বাংলার বিপ্লবীদের আত্মবলিদানের কথা দেশের সামনে তুলে ধরতে আগামী ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোর থিম করা হয় ‘স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ভূমিকা’৷ ৫টি বৈঠকের পরও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ এক্সপার্ট কমিটির সদস্যরা বাংলার ট্যাবলোর থিম অনুমোদন করেননি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই বাংলার ট্যাবলোকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।

আরও পড়ুন-এবার পুরসভা থেকেই পাওয়া যাবে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট

এবার ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে কেন্দ্রীয় সরকারের থিম হল বন্দেমাতরম এবং ‘সমৃদ্ধি কা মন্ত্র— আত্মনির্ভর ভারত’। বন্দেমাতরম-র উল্লেখ থাকছে রাজ্যের ট্যাবলোর থিমেও৷ ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দেমাতরম কীভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা-সহ গোটা দেশের বিপ্লবীদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে, কীভাবে বন্দেমাতরম স্লোগান তুলে হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে এগিয়ে গিয়েছেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা, তার উল্লেখ ছিল বাংলার ট্যাবলোতেও৷ এই ট্যাবলো ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বিপ্লবী বিনয়-বাদল-দীনেশসহ একঝাঁক মনীষী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি দিয়ে। বাজবে দেশাত্মবোধক গান৷ এই থিম-ভাবনা জানার পরেও কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার ট্যাবলোকে অনুমোদন দেয়নি৷
কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল সাংসদ মালা রায় এ-বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী, মনীষীদের নিয়ে ট্যাবলোর ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়ার জন্য এত মিটিং করার কী প্রয়োজন? যাঁরা দেশ স্বাধীন করেছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যাবলো অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের এই টালবাহানা আসলে ওদের রাজনৈতিক দীনতা এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির পরিচয় বহন করে। — ফাইল চিত্র

Latest article