সুমন তালুকদার, সন্দেশখালি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে সন্দেশখালি। আগামিকাল, সোমবার সন্দেশখালিতে আসবেন। সন্দেশখালির মানুষ মুখিয়ে রয়েছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী তা শুনতে। মাঝে সন্দেশখালির উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছে। সেই ঝড় সামলে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে সন্দেশখালি। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন তিনি সন্দেশখালির মানুষের কাছে যাবেন। সেই কথা রেখেই আগামিকাল সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক জনসভা করবেন তিনি। যেখান থেকে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ পাবেন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা।
আরও পড়ুন-ওড়িশা থেকে আসা বাঘিনি বাঁকুড়ার জঙ্গলে বনদফতরের হাতে, অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
সন্দেশখালির ঋষি অরবিন্দ মিশন মাঠে হবে এই প্রশাসনিক সভা। তার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা, স্বাভাবিক কারণেই সজাগ ও সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। রবিবার মাঠ পরিদর্শন ও কাজের তদারকি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাটের এসডিও আশিস কুমার, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে আসবেন, তাই হেলিপ্যাড তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এদিন সেই হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার ওঠানামা করিয়ে পরীক্ষামূলক চেকআপ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানতে চাইবেন সেখানকার উন্নয়নের খতিয়ান, জানতে চাইবেন আর কী কী কাজ সেখানে করতে হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের প্রায় ২০ হাজার মানুষের হাতে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তা তুলে দেবেন। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধি-সহ মোট ১৩৪ জন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সীমান্ত মহকুমা বসিরহাট।
বসিরহাটের সন্দেশখালিকে চক্রান্ত করে বারবার উত্তপ্ত করার ঘৃণ্য রাজনীতি শুরু করেছিল বিরোধীরা। তারমধ্যে বিজেপিই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। মিথ্যা অভিযোগ করে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী হাজি শেখ নুরুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি প্রয়াত হয়েছেন।