প্রতিবেদন : এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। করোনাজনিত কারণে দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই আয় কমেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। সংসার চালাতে নাজেহাল গৃহস্থ। এরই মধ্যে ছলে-বলে-কৌশলে নরেন্দ্র মোদি সরকার নিয়মিত মানুষের পকেট কেটে চলেছে। চিঁড়ে, মুড়ি, দইয়ের পর এবার রেল ও বিমানের টিকিট এবং হোটেলের বুকিং বাতিল করার জন্য পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি দিতে হবে।
আরও পড়ুন-সংখ্যালঘু শিল্পীরাই মায়ের কেশসজ্জার কারিগর
রেলের ক্ষেত্রে ট্রেনের সংরক্ষিত টিকিট বাতিল করার খরচ বাড়ছে। প্রথম শ্রেণি বা এসি কোচের নিশ্চিত টিকিট বাতিল করলে এবার জিএসটি দিতে হবে। কোনও কারণে টিকিট বাতিল করলে ক্রেতার কাছ থেকে এতদিন টিকিটের দামের কিছুটা অর্থ কেটে নিত রেল। এবার সেই মূল্যের উপর বসানো হবে জিএসটি। অর্থাৎ রেলকে টিকিট বাতিলের মূল্য দেওয়ার পাশাপাশি সরকারকেও পণ্য পরিষেবা কর দিতে হবে। অর্থাৎ একই টিকিটে দু’বার কর দিতে হবে। কারণ যাত্রীকে টিকিট কাটার সময় একবার সরকারকে কর দিতেই হয়। এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থমন্ত্রকের ট্যাক্স রিসার্চ ইউনিট। ওই বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেনের নিশ্চিত হওয়া টিকিট বাতিলের পাশাপাশি হোটেলে ঘর সংরক্ষণ বাতিলেও কর আদায়ের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বয়কট করলেন সাত সাংসদ, গেরুয়া প্রশিক্ষণ শিবির
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, টিকিট কাটার সময় ক্রেতাকে যে হারে কর দিতে হয়, টিকিট বাতিল করার সময়েও সেই একই হারে কর দিতে হবে। অর্থাৎ টিকিট বাতিল করলে অর্থমন্ত্রকের নতুন নিয়মে আবার ৫ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে। সফরের ১২ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে ট্রেনের টিকিট বাতিল করা হলে টিকিটের মোট দামের ২৫ শতাংশ বাতিলমূল্য হিসাবে কেটে নেওয়া হয়। এখন থেকে এই বাতিলমূল্যের উপরেও বসবে জিএসটি বা পণ্য পরিষেবা কর। অর্থাৎ ২৪০ টাকার জায়গায় দিতে হবে ২৫২ টাকা। ১২ ঘণ্টা আগে নিশ্চিত টিকিট বাতিল করা হলে টিকিটের ২৫ শতাংশ ফি হিসেবে চার্জ করা হয়। বিমানের টিকিট বাতিলের সময়ও জিএসটি বাবদ অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে যাত্রীদের।