লজ্জা পাবে মধ্যযুগও, দশম শ্রেণির ছাত্রীদের শার্ট খুলে নিলেন প্রিন্সিপাল

প্রশ্ন একটাই, ছাত্রীদের নিরাপদ ভবিষ্যতের দিশা দেখানো যাঁর একান্ত কর্তব্য, সেই স্কুল প্রিন্সিপালই হয়ে উঠলেন এতটা নৃশংস, এতটা অমানবিক?

Must read

প্রতিবেদন: শাস্তির নামে একি অসভ্যতা! লজ্জা পাবে মধ্যযুগীয় ভাবনাও। প্রশ্ন একটাই, ছাত্রীদের নিরাপদ ভবিষ্যতের দিশা দেখানো যাঁর একান্ত কর্তব্য, সেই স্কুল প্রিন্সিপালই হয়ে উঠলেন এতটা নৃশংস, এতটা অমানবিক? স্তম্ভিত সভ্যসমাজ। স্কুলের মধ্যেই দশম শ্রেণির ছাত্রীদের শার্ট খুলে নিলেন প্রিন্সিপাল। অন্তর্বাসের উপরে ব্লেজার চাপিয়ে কোনওরকমে লজ্জা ঢেকে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হল ৮০ জন কিশোরী। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। একটি নামী বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপালের এমন ‘কীর্তি’তে ঝড় উঠেছে নিন্দার। বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিভাবকরা। দোষীর কঠিন শাস্তির দাবিতে গর্জে উঠেছে আমজনতা। দাবি উঠেছে গ্রেফতারেরও।

আরও পড়ুন-অপরাধমুক্ত সীমান্ত, ভারত কড়া বার্তা দিল বাংলাদেশকে

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, অনেক কান্নাকাটি, কাকুতি-মিনতি করেছিল মেয়েরা। কিন্তু কোনও কথাই কানে তোলেননি প্রিন্সিপাল। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা? জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির পরীক্ষা শেষে সহপাঠীদের সঙ্গে শেষবার দেখা হচ্ছিল। তাই শার্টে একে অপরের উদ্দেশে নানা ভাল কথা লিখেছিল ছাত্রীরা। প্রিন্সিপালের নজরে আসে বিষয়টি। শাস্তি দিতে ৮০ জন ছাত্রীকে শার্ট খুলতে নির্দেশ দেন তিনি। এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতি, বহুবার ক্ষমা চেয়েছিল ছাত্রীরা। কিন্তু প্রিন্সিপাল শাস্তি দিতেই অনড়। জোর করে ছাত্রীদের শার্ট খোলালেন। স্কুল ছুটির পরও সেই শার্ট ফেরত দিলেন না। শার্ট ছাড়াই বাড়ি ফেরত পাঠালেন। ব্লেজারটুকু পরে কোনওমতে লজ্জা নিবারণ করে ছাত্রীরা।

আরও পড়ুন-আরও উন্মত্ত হয়ে উঠছে দাবানল লস অ্যাঞ্জেলেসে মৃত্যু বেড়ে ১৬

ধানবাদের ডেপুটি কমিশনার মাধবী মিশ্র জানিয়েছেন, শুক্রবার জোরাপোখার থানার অন্তর্গত দিগওয়াদিহের একটি নামকরা স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিভাবকরা ডিসির কাছে অভিযোগ করেছেন, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা শেষ করার পরে, একে অপরের শার্টে বার্তা লিখে ‘কলম দিবস’ উদযাপন করছে। অধ্যক্ষ তাতে আপত্তি জানান এবং শিক্ষার্থীদের তাদের শার্ট খুলে ফেলতে বলেন, যদিও তারা ক্ষমা চেয়েছিল। অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা শিক্ষা আধিকারিক, জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক এবং মহকুমা পুলিশ অফিসার। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ডিসি। ঝারিয়া বিধায়ক রাগিণী সিংও অভিভাবকদের সঙ্গে শনিবার ডিসি অফিসে গিয়েছিলেন অভিযোগ জানাতে। বিধায়ক ঘটনাটি লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করলেও প্রশ্ন উঠেছে, অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন?

Latest article