মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নিজের ওপর থেকে দায় ঝেড়ে ফেললেন হরিমুকুন্দ পান্ডা। ওডিশার এই বাসিন্দা অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) শ্রীকাকুলামের শ্রী ভেঙ্কটেশ স্বামী মন্দির নির্মাণ করান। শনিবার সেখানে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই যদিও চলছে দোষ চাপানোর খেলা। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এই ঘটনার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের উপরে সব দোষ চাপিয়েছেন। কিন্তু এই মন্দিরের নির্মাতা, ৯৪ বছরের হরিমুকুন্দ পান্ডা জানান এই ঘটনার জন্য কেউই দায়ী নন। ‘ভগবানের ইচ্ছেতেই’ সব কিছু হয়েছে।
আরও পড়ুন-বেঙ্গালুরুতে সিগন্যাল ভেঙে ছুটল অ্যাম্বুল্যান্স, মৃত ২
শ্রীকাকুলামের কাসিবুগ্গার পলাশ মণ্ডলে তিরুমালার আদলে ভেঙ্কটেশ স্বামী মন্দির নির্মাণ করা হয়। ‘মিনি তিরুপতি’ হিসেবেও পরিচিত এই মন্দির। তৈরি করেন ওডিশার একটি রাজপরিবারের সদস্য হরিমুকুন্দ পান্ডা। তাঁর ৫০ একর জায়গা আছে। তার মধ্যে ১২ একর জায়গায় প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ করে এই মন্দির তৈরি করেন তিনি। মাস চারেক আগে এই মন্দির জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই গতকালের ঘটনার পর তাঁর এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, শনিবারের অনুষ্ঠান নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনকে কিছুই জানাননি। তাই সেখানে নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় নি। পাল্টা হরিমুকুন্দ পান্ডা জানিয়ে দিলেন তিনি তাঁর নিজের জমিতে এই মন্দির তৈরি করেছেন। ব্যক্তিগত জায়গায় মন্দির তৈরি করার পরে কেন তিনি পুলিশ বা প্রশাসনকে জানাতে যাবেন?
বেশ ঔদ্ধত্য নিয়েই তিনি বলেন, ‘‘এখানে একে একে লোকজন এসে মন্দির দর্শন করে। শনিবার এক সঙ্গে অনেক লোকজন এসেছিলেন। আমরা লাইন করেই তাঁদের ভিতরে পাঠাচ্ছিলাম। যা হয়েছে তা সবই ভগবানের ইচ্ছা। এই ঘটনার জন্য কেউ দায়ী নন। আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হতেই পারে। এতে আমার কিছু করার নেই।’’ উল্লেখ্য, শনিবার কার্তিক একাদশী এবং বিশেষ তিথি উপলক্ষে এক সঙ্গে কয়েক হাজার ভক্ত ওই মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন। তাই গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শ্রীকাকুলামের পুলিশ এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ওই মন্দিরে নিরাপত্তায় অনেক গাফিলতি আছে। ভিতরে আসা এবং বাইরে যাওয়ার রাস্তা একটাই। ভিড়ের চাপে স্টিলের রেলিং ভেঙে যাওয়ার ফলেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।

