প্রতিবেদন : সেদিন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখাও করেননি! ব্যাপক লাঠিচার্জ করে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে গিয়ে রাত্রি আড়াইটার সময় বয়স্ক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছেড়ে দেয়!
সিপিএম কমরেড জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার ১৯৯১ সালে একদিনে অবসরের বয়স ৬৫ থেকে পাঁচ বছর কমিয়ে ৬০ বছর করার কারণে একদিনেই পশ্চিমবঙ্গে প্রাইমারি সেকেন্ডারি মিলিয়ে ৭৩ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীকে বেকার করেছিলেন!
সেদিন একটা সুন্দর সকালে খবরের কাগজের শিরোনামে ৭৩ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী দেখেছিলেন তাঁদের আর চাকরি নেই!
আরও পড়ুন-আইনি প্রক্রিয়াতেই মিটবে সমস্যা, আত্মবিশ্বাসী ব্রাত্য, কাল চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক
অনেকেরই সেদিন কারও ৫ বছর, কারও ৪ বছর কারও ৩ কারও ১ বছর চাকরি ছিল?? কিন্তু জোর করে একটা কলমের খোঁচায় ৭৩ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষকর্মীকে অবসর নিতে বাধ্য করিয়েছিল! এমনকী অবসরকালীন সমস্ত রকমের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছিল তৎকালীন নিষ্ঠুর সিপিএম সরকার!!
সেদিন ৬০ বছর বয়সি ৭৩ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা অবসররের প্রাক্কালে প্ল্যানমাফিক ভেবেছিলেন বাকি চাকরিকালে মেয়ের বিয়ে দেব, কেউ ভেবেছিলেন বাড়ি করব, কেউ ভেবেছিলেন ছেলে-মেয়েদের হায়ার এডুকেশন দেব!!
সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি তৎকালীন সিপিএম সরকার…
আমরা কেউ সেসব ঘটনা ভুলে যাইনি …