সংবাদদাতা, হুগলি: প্রমাণের অভাবে সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি সিবিআই। ফলস্বরূপ জামিন পেয়েছেন এই দু’জন। এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, আন্দোলনকারীদের চাপে প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও এই দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এখন বাধ্য হয়ে তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ বলেন, সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসিকে কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আন্দোলনের চাপে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সিবিআই যখন সন্দীপ ঘোষ আর ওসিকে গ্রেফতার করল তখন তাঁদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। এমনকী সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও সেকথা বলেছিল। সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারল না। ৯০ দিনের মধ্যে যদি চার্জশিট জমা দিতে না পারে স্বাভাবিকভাবেই জামিন পাবে। এটা হল আইনের কথা।
আরও পড়ুন-সংসদে তৃণমূল ৩৮, বিজেপি ১৩, নারীশক্তি নিয়ে মোদির ভণ্ডামি, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে নজির বাংলার
সাংসদ আরও বলেন, আমি আগেই বলেছি ক্রিমনাল কেসে কে অভিযুক্ত হবে, কার বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে, কার বিরুদ্ধে কনভিকশন হবে সেটা আমার অনুমানের উপর নির্ভর করে না। এর জন্য সাক্ষ্যপ্রমাণ চাই। কিন্তু আজ যে জিনিসটা দেখা যাচ্ছে, সিবিআই যে গ্রেফতার করেছিল তা সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই করেছিল। যাঁরা আন্দোলন করেছিলেন ডাক্তাররা, তাঁদের চাপেই এটা করেছে। এখন যদি দেখা যায় সিবিআই সত্যি সত্যি ওদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে না পারে তাহলে ৯০ দিনের আটকে রাখাটা তো বেআইনি হয়ে গেল।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, এটা কাদের জন্য হল? এটা কারা চাপ দিয়ে করাচ্ছে? থ্রেট কালচার কারা করছে সেটাই এখন দেখার। আন্দোলনের নাম থ্রেট দেওয়া চলছে। তাঁর কথায়, আন্দোলন করে কিছু হয় না। যাঁরা নেমেছেন তাঁদের বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, আপনারা আন্দোলন থেকে সরে আসুন, তথ্যপ্রমাণ যা আছে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিন।