”দোষ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’, রোড সেফটি উইকের সূচনা করে কসবাকাণ্ডে পুলিশের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নগরপাল

ট্র্যাফিক আইনের তোয়াক্কা না করে অঘটনের নজির প্রায়শই নজরে আসে। এর ফলে প্রায় প্রতি দিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে।

Must read

মঙ্গলবার থেকে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) রোড সেফটি উইক শুরু হল। ট্র্যাফিক আইনের তোয়াক্কা না করে অঘটনের নজির প্রায়শই নজরে আসে। এর ফলে প্রায় প্রতি দিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতার বার্তা নিয়ে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচী প্রতিবছরই পালন করে কলকাতা পুলিশ। সময়ের সাথে কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে কড়া আইন যেমন জরুরি, তেমন মানুষের মধ্যে সচেতনতাও প্রয়োজন। এই মর্মে আজ থেকেই কলকাতা পুলিশের তরফে নানা অনুষ্ঠান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচী শুরু হচ্ছে।

আরও পড়ুন-ধর্ষণের প্রতিবাদ মঞ্চে ছিঁড়ল মহিলার পোশাক, প্রশ্নের মুখে বিজেপি, নিন্দায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস

মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠানের সূচনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা (Manoj Verma)। সেখান থেকে কসবাকাণ্ড নিয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘’তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত সব তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। এই ঘটনায় আমাদের কাছে অনেক রকম তথ্য এসেছে। কিন্তু পুলিশের যা পদক্ষেপ নেওয়ার তাঁরা সেটা নেবে।” তবে এদিন তিনি আরও একবার নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে অবগত করে জানান দোষ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি হবে। তিনি বলেন, ”যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি খুবই সেন্সিটিভ। তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের কাছে ইতিমধ্যে একাধিক তথ্য এসেছে, আরও প্রমাণ জোগাড় করেছি। যা যা অ্যাকশন নেওয়ার দরকার সেটা নেওয়া হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন-কসবাকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিচয় ফাঁস করলে আইনি ব্যবস্থা, সতর্কবার্তা কলকাতা পুলিশের

সোশ্যাল মিডিয়াতে কলকাতা পুলিশের সতর্কবার্তার প্রসঙ্গ তুলে নগরপাল বলেন, ”সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ কসবা ল কলেজের নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশের চেষ্টা করছেন। এটা ঠিক নয়। সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাইকোর্টের গাইডলাইন রয়েছে যাতে নির্যাতিতার পরিচয় কোনও ভাবে প্রকাশ্যে না আসে। সেটা মেনে চলতে হবে।”

Latest article