প্রতিবেদন : আবাস যোজনার (Awas Yojana) সমীক্ষা-পর্বে তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে পরিয়ায়ী শ্রমিকদের কিছুটা ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পেশাগত কারণে যাঁরা বাইরে থাকেন তাঁদের পরিবারের কোনও একজন সদস্য তথ্য যাচাইয়ের সময় উপস্থিতি থাকেলেই বাড়ি তৈরির প্রথম পর্যায়ের টাকা দেওয়া হবে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা পাওয়ার আগে সমীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। নচেৎ দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকা দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- সরকারি হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামোগত বদল! জেলায় জেলায় নির্দেশ
উপনির্বাচনের কারণে রাজ্যের ৫টি জেলা বাদে বাকি সব জেলায় আবাস যোজনার চূড়ান্ত পর্যায়ের সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এই সমীক্ষার সময়ে তালিকায় নাম থাকা উপভোক্তাদের তাঁদের বর্তমান বাড়ির সামনে শারীরিক উপস্থিতি থাকা বাধ্যতামূলক। কেননা, সমীক্ষার সময়ে উপভোক্তার ছবি, তাঁর বাড়ির ছবি-সহ পোর্টালে আপলোড করা হচ্ছে। করা হচ্ছে জিও ট্যাগিংও কিন্তু সমীক্ষার শুরু থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি নিয়ে সমস্যা শুরু হয়। যেহেতু তাঁরা কর্মসূত্রে এখন বাইরে রয়েছেন তাই তাঁদের নাম তালিকায় থাকা উপভোক্তা হিসাবে কাটা পড়তে চলেছিল তাঁদের শারীরিক উপস্থিতি না থাকায়। সেই সমস্যার কথা উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। সেই কথা শুনেই তিনি রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, আবাসের (Awas Yojana) সমীক্ষার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকরা না থাকলেও হবে, শ্রমিকদের কোনও নিকট আত্মীয় থাকলেও হবে। তবে দ্বিতীয় দফার ভেরিফিকেশনের সময়ে তাঁকে থাকতেই হবে, এই নির্দেশ জেলায় জেলায় পৌঁছে দিতে। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন থেকে সমীক্ষায় নতুন নিয়ম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জেলা প্রশাসনগুলিকে জানানো হয়েছে, আবাস যোজনায় প্রথমবার ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সেই টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে। তবে সেই উপভোক্তা যদি পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে থাকেন তাহলে তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য ভেরিফিকেশনের সময় থাকলেই হবে। তবে দ্বিতীয় দফায় যখন ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হবে, তখন আবার যে ভেরিফিকেশন হবে, সেই সময় ওই পরিযায়ী শ্রমিককে সশরীরে সেখানে থাকতে হবে। সেই সময় ওই পরিযায়ী শ্রমিক না থাকলে আর দ্বিতীয় দফার টাকা মঞ্জুর করা হবে না।