প্রতিবেদন : ড্রাগন ফলের উপকারিতা প্রচুর। হৃদযন্ত্র সবল রাখা, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা, টিউমার বা ক্যান্সারের সঙ্গে লড়া এর মধ্যে অন্যতম। এই ধরনের উপকারিতার জন্যই মানুষ এই ফল কিনে খান। দাম বেশি হওয়ায় এর ব্যবসা লাভজনক। লাতিন আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্য থেকে যে ফল এক সময় ভারতে আমদানি হত তার চাষ এখন ভারতেই হচ্ছে। তাতে পয়সার মুখও দেখা যাচ্ছে। ইচ্ছেশক্তি থাকলে স্বল্প পরিসরেই ড্রাগন চাষে সাফল্যের প্রকৃত নজির জলপাইগুড়ি পুরসভার টুপামারি এলাকার মলয়কুমার রায়। উত্তরবঙ্গে ড্রাগন চাষে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। বাড়ির ছাদেই চাষ করছেন ড্রাগনের। চিরাচরিত চাষের চেয়ে ড্রাগন চাষ অনেকটাই অর্থকরী বলে দাবি তাঁর। এক বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের সুযোগ আছে বলে তাঁর বক্তব্য। নিজের বাড়ির ছাদে এগারশো স্কোয়ার ফুট জুড়ে ২৫০ টি এই গাছ বসিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-বাঁদিকে গলব্লাডার, বিরল অস্ত্রোপচার রায়গঞ্জে
রাজারহাটের গ্রামের বাড়িতেও ড্রাগন চাষ করেও সাফল্য এসেছে। শুধুমাত্র শখের বশেই ইউ টিউব ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম থেকে কিছুটা ধারণা নিয়ে এই চাষ শুরু করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘অন্যান্য কৃষিকাজের পাশাপাশি একটু জায়গা থাকলেই যে কেউ এর চাষ করতে পারেন। কেননা ড্রাগন চাষ অনেক লাভজনক। প্রথম দিকে পরিশ্রম করলেও পরে তেমন প্রয়োজন হয় না। অর্গানিক পদ্ধতিতেই চাষ করা এই বিদেশি ফল সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। চেষ্টা করলে যে কেউ চাষ করে সাফল্য পেতে পারেন।’ ড্রাগন চাষে বিপ্লব আনা মলয়বাবু চান, এই চাষে জোয়ার আসুক। সঙ্গে আসুক বাংলার মানুষের আর্থিক সমৃদ্ধি।