প্রতিবেদন : নিয়োগ-কাণ্ডে তদন্তের নামে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদেরই টার্গেট করছে ইডি, সিবিআইয়ের মতো এজেন্সিগুলি। এই নিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও ডাঃ শশী পাঁজা। এদিন তৃণমূল ভবন থেকে তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। যা পাওয়া গিয়েছে, তা ব্যক্তিগত ভাবে কোনও নেতার কাছ থেকে। অতএব তার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এ নিয়ে যা বলার তাঁরাই বলবেন।
আরও পড়ুন-আবাসে এক টাকাও পেল না বাংলা!
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ সামনে আনছে এবং এই অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল নেতাদের মিডিয়া ট্রায়ালে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা পালটা অভিযোগ করেন, চাকরি যাওয়াদের তালিকায় শুধু তৃণমূল-ঘনিষ্ঠদেরই নয়, সিপিএম, বিজেপি-সহ একাধিক দলের ঘনিষ্ঠদের নামও রয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে এজেন্সি নীরব। সাংবাদিক বৈঠকে হিমাদ্রী মাইতি, মলয় চন্দ্র কয়াল, মাসুদুর রহমান নস্কর, মিলন মাঝি, সৌরভ শাসমলের মতো সিপিএম ও বিজেপি কোটায় চাকরি পাওয়াদের নামের তালিকা তুলে ধরে ব্রাত্য বসু প্রশ্ন তোলেন, তালিকায় নাম থাকা তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের কথাই বলা হচ্ছে কেন, তালিকায় সিপিএম ও বিজেপির যারা রয়েছে তাদের নিয়ে তো কিছু বলা হচ্ছে না? আমরা তো ৫৫ জনের নাম দিয়েছি, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত তো হচ্ছে না? এটা একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে, যেন আপনি তৃণমূল কংগ্রেস করেন, আপনি দুর্নীতিতে যুক্ত, আপনাদের গ্রেফতার করা হবে। এভাবে কোনও বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে? শশী পাঁজা বলেন, আমাদের নেত্রী বারবার বলেছেন, দুর্নীতি নিয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স। অভিযোগ ওঠার পর আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নিয়েছি। সে পার্থ চট্টোপাধ্যায় হোন বা অন্য কেউ।
আরও পড়ুন-দেড় বছরের ডিএ দেবে না কেন্দ্র, সংসদে মন্ত্রী
মঙ্গলবার দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করেছে দল। ব্রাত্য অভিযোগ করেন, কিন্তু তারপরও বিধানসভার মধ্যে জেলে পোরার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তার মানে বোঝাই যাচ্ছে এজেন্সি কাদের নির্দেশে কাজ করছে? এভাবে তৃণমূলের লোকেদের জেলে ভরে কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে। এই রাজনীতি অবিলম্বে বন্ধ হোক, দাবি করেন ব্রাত্য বসু।