প্রতিবেদন : সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করায় বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে মোদি সরকারের অঙ্গুলিহেলনে ১৫ জন সাংসদকে বৃহস্পতিবার লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। এই তালিকায় নাম আছে ডিএমকের লোকসভা সাংসদ এস আর পার্থিবনেরও। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হল, যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানোর কারণে অধিবেশন থেকে বহিষ্কার, সেই কর্মসূচিতেই ছিলেন না শাস্তিপ্রাপ্ত সাংসদ। অর্থাৎ লোকসভায় অনুপস্থিত থেকেও শাস্তির মুখে পড়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-ফুলকপিতে ধসা রোগ, মাথায় হাত সুতির চাষিদের
এই ঘটনার পরেই ক্ষুব্ধ সাংসদ বলেছেন, আমি তো তখন অধিবেশনকক্ষেই ছিলাম না! তাহলে কীভাবে শাস্তি দেওয়া হল আমাকে? তামিলনাড়ুর সালেম থেকে নির্বাচিত ডিএমকে সাংসদ এসআর পার্থিবনের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার সদনে উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও আমার নাম বিরোধী সাংসদদের বহিষ্কারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা একটি ‘তামাশা’। তিনি জানান, অসুস্থতার কারণে সংসদে এদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি। ধর্মপুরী সংসদীয় আসনের ডিএমকে সাংসদ এস সেন্থিলকুমারও এই ট্যুইট করে জানান, প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সময় ডিএমকে সদস্য পার্থিবন লোকসভায় আদৌ ছিলেন না। কিন্তু সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সংসদ সদস্যদের তালিকায় তার নাম পড়ে শুনিয়েছেন সংসদবিষয়ক মন্ত্রী। এটি উপহাস ছাড়া কী? এটি মোদি সরকারের অযোগ্যতার আরেকটি নমুনা। কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরমও বলেন, এই সরকারি সাসপেনশনে বড় কমেডি আছে। কারণ সাংসদ পার্থিবন লোকসভায় অনুপস্থিত থেকেও বহিষ্কৃত! দিনভর সমালোচনার চাপে ভুলস্বীকার করে শেষপর্যন্ত লোকসভার বহিষ্কৃত সাংসদদের তালিকা থেকে পার্থিবনের নাম বাদ দিতে বাধ্য হয় সরকার।