প্রতিবেদন : আর বাঁচতে চাই না! নিজে হাতে স্ত্রী, মেয়ে ও বউদিকে খুন করে এখন অনুশোচনা চেপে বসেছে প্রসূনের মনে। পুলিশ থেকে শুরু করে আদালতে বিচারকের সামনেও বারবারই এখন স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বরণ করে নেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করছেন ট্যাংরার (Tangra Murder Case) প্রসূন দে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দিতে সব দোষ স্বীকারও করতে চান প্রসূন। বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ আদালতে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এদিন সরকারি আইনজীবীর আবেদনে প্রসূনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
কোনও অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দোষ কবুলে রাজি থাকলে, ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী তার স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করেন। এদিন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক সেই প্রক্রিয়া সম্বন্ধে জানান প্রসূনকে। সরকারি আইনজীবীর কাছে প্রসূনের ইচ্ছে জানতে পেরে বিচারক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দোষ স্বীকার করবেন? উত্তরে প্রসূন বলেন, হুম। এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপাতত আপনার আর কিছু বলার আছে? প্রসূনের জবাব, না।
আরও পড়ুন- হালতু, ট্যাংরা কাণ্ডের ছায়া, বোলপুরেও ঋণের দায়ে আত্মঘাতী হল দম্পতি
বিচারকের পরের প্রশ্ন, দু’দিনের পুলিশ কাস্টডিতে কোনও অসুবিধা হয়েছে? দোষ স্বীকারের জন্য কেউ আপনাকে জোর করেনি তো? প্রসূন ঘাড় নেড়ে উত্তর দেন, না। বিচারক বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দোষ স্বীকারের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। জেলে যাওয়ার পর আপনি দু’দিন সময় পাবেন। পুরো বিষয়টা ভেবে আপনি আপনার কথা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাবেন।
এদিকে, পুলিশি জেরায় প্রসূন একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করছেন পুলিশের কাছে। শুধু পায়েস নয়, তার সঙ্গে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গোটা পরিবার একসঙ্গে বিষ মেশানো সন্দেশও খেয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রসূন। এমনকী, ঠাকুরঘরে পায়েস ও সন্দেশে বিষ মিশিয়ে ঈশ্বরের কাছে আসন্ন কুকর্মের জন্য ক্ষমাও চান প্রসূন ও তাঁর স্ত্রী রোমি।