জোকা আইআইএমে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে চরম ধোঁয়াশা

Must read

প্রতিবেদন : এ-রাজ্যের অন্যতম কেন্দ্রীয় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোকার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের (Joka IIM) হস্টেলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। হরিদেবপুর থানায় তরুণীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনার পর নির্যাতিতার বাবার দাবি, এরকম কিছু ঘটেনি। তাঁর মেয়েরও কিছু হয়নি।

প্রশ্ন, তাহলে কেন অভিযোগ দায়ের করলেন তরুণী? ফলে গোটা ঘটনা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ঘটনা সামনে আসার পরই বিজেপির তরফে এই ঘটনাকে টেনে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিজেপির এই অবান্তর অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার বিকেলে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এখনও এটা একটা ধোঁয়াশাপূর্ণ ঘটনা হয়ে আছে। যেখানে এটা ঘটেছে, সেটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিষ্ঠান নয়। সেখানে নিশ্চয়ই তাদেরই নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ তাঁরা দেখুন।

আরও পড়ুন- অভয়া সেলের সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

যে ছেলেটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে কর্নাটকের বাসিন্দা। মেয়েটি এক ধরনের অভিযোগের কথা বলছেন, কিন্তু তাঁর বাবা অন্য কথা বলছেন। আমার মনে হয় সবক’টি রাজনৈতিক দলেরই কোনও বিষয়ে সরব হওয়ার আগে গোটা বিষয়টি ভালভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। সমাজটা অনেক বড়। সেখানে অনেক ঘটনাই ঘটতে পারে। কিন্তু প্রথমেই একটা উপসংহার টেনে সেটা নিয়ে আসরে নেমে পড়াটা উচিত নয়। একটা খারাপ ঘটনাকে কেউ সমর্থন করছে না। সেখানে কী ঘটেছে৷ কারা জড়িত৷ না জেনে কথায় কথায় তৃণমূল কংগ্রেসকে কেন টেনে আনা হচ্ছে? তৃণমূল এর সঙ্গে কীভাবে জড়িত? দল কী করতে পারে? একটা ছেলে, যে কর্নাটক থেকে এখানে পড়তে এসেছে, তার সঙ্গে ফেসবুকে এক মহিলার আলাপ, তাদের মধ্যে কিছু হয়েছে, কি হয়নি, সেটা রাজ্যের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার মধ্যে কীভাবে পড়তে পারে, আর তৃণমূল তার সঙ্গে কীভাবে যোগ হতে পারে এটা পরিষ্কার নয়। ফলে আদৌ কী ঘটেছে এবং তা নিয়ে একটা রাজনৈতিক প্রচারের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে তার সবটাই খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।

Latest article