ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষের গাফিলতি স্পষ্ট। ঘটনার তদন্তে এবার ৪ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম তাঁদের তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে। এরই মধ্যে মৃতের বাবা সবমহলের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, তাঁর ছেলের মৃত্যু নিয়ে যেন রাজনীতি না করা হয়। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত বর্তমান ও প্রাক্তন মিলিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জেরায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দু’জন সন্দেহভাজনের খোঁজ চলছে। ২৪ ঘন্টা আগে সেই অভিশপ্ত রাতের ঘটনা উঠে এসেছিল হস্টেলের এক নিরাপত্তারক্ষীর বয়ানে। এদিন সেই নিরাপত্তারক্ষীকেও তলব করছে পুলিশ। এদিনও তৃণমূল ছাত্রপরিষদের ধরনা কর্মসূচি জারি আছে। বুধবার না পারলেও বৃহস্পতিবার তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন। এদিন তাঁদের বাধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। তা নিয়ে ক্যাম্পাসে ফের তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়।
এই আবহে এদিন ক্যাম্পাসে ঢোকা নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। নির্দেশিকায় জানান হয়েছে, এবার রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। ক্যাম্পাসে মাদক নেওয়ার সময় ধরা পড়লে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলিতে সিসিটিভি বসানো হবে। তবে হস্টেলে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে কিনা তা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) হস্টেলে কী কী ঘটনা ঘটে তা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন হস্টেল সুপার। তিনি বলেন, ‘মেন হস্টেলে বসত নেশার আসর। হস্টেলের ঘরে-ছাদে র্যাাগিং চলত, প্রাক্তনীদের দাদাগিরি চলত হস্টেলজুড়ে। হস্টেলে নজরদারি করতে গেলে বাধা দেওয়া হত। সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- নদিয়ায় গাড়ি-লরির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু ১ সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ ৩ জনের