মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) নিমুচ এলাকাতে গ্রামের মধ্যে হঠাৎ নজরে এল কুমির। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়ায় গ্রাম জুড়ে। সেই কুমির উদ্ধার করার সময়ে পালাতে গিয়ে কুমিরের আক্রমণে আহত হলেন দুজন গ্রামবাসী। এই ঘটনার পর এলাকাবাসী বন দফতরের গাফিলতির অভিযোগ করেছে। রবিবার হঠাৎ কুমিরটি নিমুচের থাদোলি গ্রাম পঞ্চায়েতের হনুমানটিয়া রাভজি গ্রামে ঢুকে পড়ে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই কুমিরটি চলে এসেছিল গ্রামের কাছে।
আরও পড়ুন-আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্প, মৃত বেড়ে প্রায় ৭০০
কুমিরটি দেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশ চলে এলেও বন বিভাগের কর্মীরা প্রায় ৫ ঘণ্টা দেরিতে এসেছেন। তারপর বনকর্মীরা এলেও কুমির ধরার যথেষ্ট পরিমান সরঞ্জাম সঙ্গে তাঁরা নিয়ে আসেননি। এরপরেই উদ্ধার কাজ চালানোর সময়ে কুমিরটি ছোটাছুটি শুরু করে। সেই সময়েই কুমিরের আক্রমণে আহত হন মোহনলাল এবং তাঁর ছেলে ঘিসালাল সুধার । তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই স্থানীয়দের অভিযোগ বনবিভাগের কর্মীরা বড় খাঁচা বা উপযুক্ত সরঞ্জাম না আনায় কুমিরটিকে ধরতে বেশি সময় লেগে যায়। গ্রামবাসীদের সাহায্যেই অবশেষে কুমিরটিকে ধরতে পারেন বনকর্মীরা। তারপর কুমিরটিকে গান্ধী সরোবর হ্রদে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-ডাক্তারি ভর্তিতে অসংখ্য ভুয়ো সার্টিফিকেট ধরল রাজ্যই
তবে নিজেদের ব্যর্থতার কথা একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন বিভাগীয় বন আধিকারিক এস কে আটোদে। তিনি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা খবর দিলেও গাড়ির সমস্যার ফলে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি হয়েছে। এদিকে কুমিরের আক্রমণে কেউ আহত হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে গেলেন তিনি। এরপরেই আরো একবার প্রকট হচ্ছে বিজেপি রাজ্যে প্রশাসনের ব্যর্থতা। বৃষ্টির পরিমান বেশি হলেও কেনই বা কুমির জনবহুল এলাকায় চলে আসবে এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।