গত কয়েক দিন ধরে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ (UttarPradesh), হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন অংশে। স্বাভাবিকভাবেই তার ফলে নদীগুলিতেও জল বাড়তে শুরু করেছে। কোথাও আবার বিপদসীমা পার করে লোকালয়ে জল ঢুকে পড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে নিচু এলাকাগুলি থেকে রীতিমত ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশে বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যমুনার জল বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। যমুনা ছাড়াও, সরযূ, কেন এবং চম্বলের মতো নদীগুলি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সবমিলিয়ে উত্তরপ্রদেশের ১৭টি জেলা প্লাবিত। প্রয়াগরাজে গঙ্গা এবং যমুনা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।’
আরও পড়ুন-শ্রাবণ মাসে দামোদরে সতর্কতা, বন্ধ বড়জোড়ার অস্থায়ী ঘাট
এই অবস্থার জন্য এবার সরকারের ব্যর্থতাকেই নিশানা করলেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। সোমবার ৪ আগস্ট উত্তরপ্রদেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ব্যর্থ” সরকার।জনকল্যাণের চেয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের উপর বেশি মনোযোগ এই সরকারের।” নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এদিন তিনি লেখেন, ”রাজ্য সরকার যখন “সুপার ভিভিআইপি” সমাবেশ আয়োজন করতে পারে, তখন কেন তারা বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালাতে ব্যর্থ? সরকারি তথ্য অনুসারে, রবিবার ৩ আগস্ট পর্যন্ত, উত্তরপ্রদেশের বন্যায় ৩৭টি তহসিলের ৪০২টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে ৮৪,৩৯২ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
আরও পড়ুন-”জাতীয় সঙ্গীতের ভাষার অপমান” ভাষা আন্দোলনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে এমকে স্ট্যালিন
বন্যা কবলিত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে কানপুর নগর, লখিমপুর খেরি, আগ্রা, আউরাইয়া, চিত্রকূট, বালিয়া, বান্দা, গাজিপুর, মির্জাপুর, প্রয়াগরাজ, বারাণসী, চান্দৌলি, জালাউন, কানপুর দেহাত, হামিরপুর, এটাওয়া এবং ফতেহপুর। এরপর তিনি লেখেন, “বন্যার কারণে কেবল প্রয়াগরাজেই নয়, সমগ্র রাজ্য জুড়েই এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। মানুষ খাদ্য ও পানীয় জলের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে অনেকেই করুন পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। চিকিৎসা পরিষেবা ভেঙে পড়ার কারণে শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং বয়স্করা স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না।”