প্রতিবেদন : ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কুর্সিতে বসার পরই পাল্টে গিয়েছিল সবকিছু। প্রভূত উন্নতি শুরু হয়েছিল নানা ক্ষেত্রে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও তিনি নিয়েছিলেন বেশ কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। তার মধ্যে মাস্টার স্ট্রোক ছিল হাসপাতালে হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান অর্থাৎ ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপ (Fair price medicine shop) । এবার সেই পরিষেবার আর একটু ব্যাপ্তি ঘটাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শহরের বড় হাসপাতাল বা জেলা-মহকুমা হাসপাতালের পাশাপাশি এবার ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ব্লক হাসপাতালেও। অর্থাৎ শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ হাসপাতালেও মিলবে ন্যায্যমূল্যের ওষুধ। মুখ্যমন্ত্রীর এই নয়া পরিকল্পনায় সাধারণ গরিব খেটে খাওয়া মানুষের দুয়ারে স্বল্পমূল্য ওষুধের দোকান এনে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, মাসভর কর্মসূচি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ১৩ বছরে সম্পূর্ণ বিনামূল্যের চিকিৎসা ও ফ্রি মেডিসিনের পরিষেবা দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী-সহ একের পর এক নয়া প্রকল্প চালু করে চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করেছেন। নিত্যদিন তিনি চিন্তা করছেন, কী করে মানুষকে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া যায়। তাঁর সাধ্যের মধ্যে যা রয়েছে, তা তিনি মা-মাটি-মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে তৎপর। তাই রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার মানুষের জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলার ৩৪৭টি ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান খোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তা হলে রাজ্যে ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপের সংখ্যা বেড়ে হবে কমপক্ষে ৪৬৪টি। কমপক্ষে ১৪০টি ওষুধ সুলভ মূল্যে এই ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন-কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরাট জয়
সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্য দফতর থেকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, রি-টেন্ডার হওয়া পুরনো ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলিতে অন্তত ৫০ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ পাবেন রোগীরা। আর সর্বোচ্চ ‘ডিসকাউন্ট’ সেখানে ৮৬ শতাংশ। আর এমন আভাসও মিলেছে, ব্লক বা গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপ হলে আরও বেশি ছাড় মিলবে।
উল্লেখ্য, বাংলায় বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজ, জেলা, মহকুমা, স্টেট জেনারেল এবং একটি-দুটি গ্রামীণ হাসপাতাল মিলিয়ে ১১৭টি ন্যায্যমূল্যের দোকান রয়েছে। সেখানে ১০ বছর ধরে রয়েছে পুরনো চুক্তি। সম্প্রতি ফের টেন্ডার হয়েছে। ১০৫টি দোকানের জন্য নতুন একাধিক সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১২টি জায়গায় টেন্ডার হওয়া বাকি। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, এবার রাজ্যের সব ব্লক হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান হবে। তা হবে ২০২৫ সালের মধ্যেই।